গাংনীতে সড়কের দু পাশে ১১টি হাট : ভোগান্তি

মাজেদুল হক মানিক: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার প্রধান সড়কসহ দুটি সড়কের পাশে বসে ১১টি হাট বসে। সড়কের দু ধারের জায়গা ছাপিয়ে বেচাকেনা হয় সড়কেই ওপরেই। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ক্রেতাদের বাড়ছে দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে হাট বসলেও সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ খেয়াল করছেন না।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব মিলবাজার, বাঁশবাড়িয়া, গাংনী বাজার, জোড়পুকুরিয়া, তেরাইল, ছাতিয়ান, বাওট ও আকুবপুর এবং গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের মড়কা, রাইপুর ও হেমায়েতপুর বাজারে সপ্তায় দু দিন হাট বসে। সবজি, মাছ, মাংস, মসলাসহ নিত্যপণ্যের বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। সড়ক ঘেষে বসেন বিক্রেতারা আর ক্রেতারা সড়কের ওপরে। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার গাংনী হাটের দিন। হাটের জায়গা ছাপিয়ে দোকান বসে প্রধান সড়কের দু পাশে। এ দু দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হয়। বাসস্ট্যান্ড থেকে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ক্রেতা সমাগমের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।

বাসচালক নাছির উদ্দীন জানালেন, কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাসচালকরা হাটের দিন বিপাকে পড়েন। বাস চলাচলের নির্ধারিত সময় মানতে গিয়ে বামন্দী বাজার থেকেই দ্রুত গতিতে আসতে হয়। কিন্তু থেমে থেমে হাট পার হতে গিয়ে অনেকেই জরিমানার ফাঁদে পড়েন। আবার ছোট ছোট দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই বাস চালাতে হচ্ছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, সড়ের পাশে বসা প্রতিটি হাটেই ক্রেতাদের ভিড় থাকে। অস্বস্তির মধ্যদিয়ে কেনাকাটা করতে হয়।

গাংনী বাজারের সবজিব্যবসায়ী গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আসাদুল ইসলাম জানান, বাজারে নির্ধারিত জায়গা সঙ্কটের কারণে তার মতো প্রায় দু শতাধিক ব্যবসায়ী হাটের দিনে রাস্তার পাশে চট পাতে। এতে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। আবার যানবাহন চলাচলের সময় চটের ওপরেই মানুষ হুমড়ি খেড়ে পড়েন। এভাবে ব্যবসা করতে যদিও তাদের ভালো লাগে না তারপরেও করতে হচ্ছে। গাংনীসহ বিভিন্ন বাজারের অস্থায়ী এসব দোকানিদের সাথে কথা বলে আরো জানা গেছে, বাজারের সব নিয়ম মেনেই তারা ব্যবসা করছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি হাটেই ইজারাদারের টাকা দেয়া হয়। কিন্তু তাদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ হচ্ছে না।

গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী জানিয়েছেন, হাটের জায়গা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু উপযুক্ত জায়গার বড় অভাব। জনস্বার্থে এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এসব হাটগুলো সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হয়। অর্থ জমা হয় সরকারি কোষাগারে। প্রতিবছর ইজারা মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু হাটের উন্নয়নের পরিবর্তে বাড়ছে জনদুর্ভোগ।