গাংনীতে মোটরসাইকেলের পরিচয় বদলের দোকানের সন্ধান

 

পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩ : ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া বাজারে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর পরিবর্তনের দোকানের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এ অপরাধে মোটরসাইকেল মেকার তৌফিকুল ইসলামসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চোরাই সন্দেহে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অপর দুজন হচ্ছে- গাড়াবাড়িয়া গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে হেলাল উদ্দীন ও সদর উপজেলার শুভরাজপুরের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানার এসআই শংকর কুমার ঘোষ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার রাতে গাড়াবাড়িয়া বাজারে অভিযান চালায়। অভিযানে মোটরসাইকেল মেকার তৌফিকুলকে ৩টি মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করা হয়। তার দোকান থেকেই মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর পরিবর্তন করে পরিচয় বদলে দিয়ে বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। তৌফিকুলের স্বীকারোক্তিতে তার দোকান মালিক হেলালের বাড়ি থেকে আরো একটি মোটরসাইকেলসহ হেলালকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ৪টি মোটরসাইকেলের মধ্যে হিরোহোন্ডা সিডি ডন, ইমা ১০০ সিসি এবং অপর দুটি ইয়ামাহা আরএক্স। অভিযান পরিচালনাকারী এসআই শংকর কুমার ঘোষ জানান, তৌফিকুল ও হেলালের স্বীকারোক্তিতে তাদের সহযোগী শুভরাজপুর গ্রামে মনিরুলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ১টি সিডিআই ১০০ সিসি মোটর সাইকেলসহ মনিরুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

অভিযানের পেছনের তথ্যের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি পুলিশের রিমান্ডে রাজু নামের এক সন্দিগ্ধ মোটরসাইকেল চোরের দেয়া তথ্যে এ চক্রের সন্ধান মেলে। এর মূলহোতা চৌগাছা গ্রামের বহুল আলোচিত অবৈধ মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী সাবেন হোসেন। সাবেনের কাছ থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে তার পরিচয় বদলাতো তৌফিকুল। গাড়াবাড়িয়া গ্রামে অভিযানে রাজুর স্বীকারোক্তির সত্যতা পেয়ে সাবেনকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার হওয়া মোটর সাইকেলগুলোর ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই গাড়ির প্রকৃত মালিকদের সন্ধান করা হচ্ছে। চুরি কিংবা ছিনতাই করে পরিচয় বদলে ফেলে মোটরসাইকেলগুলো কম দামে বিক্রি করা হয় বলে সন্দেহ করছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এদিকে পুলিশ বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পলাতক সাবেন ও গ্রেফতার হওয়া তৌফিকুল এবং হেলালকে ওই মামলার আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে এসআই শংকর কুমার ঘোষ বাদী হয়ে মনিরুলের নামে সদর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার ৩ জনকে গতকালই মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।