গাংনীতে প্রশাসন পরিচয়ে ইউপি সদস্য আটক

গাংনী প্রতিনিধি: প্রশাসন পরিচয়ে মেহেপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার হাসানুজ্জামান ওরফে বড় হাসানকে তুলে নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার চাঁদপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে কে বা কারা তাকে তুলে নিয়ে যায়। তবে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি। হাসানুজ্জামান বড় হাসান চাঁদপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে। এলাকা ও হাসানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিদিনের ন্যায় চাঁদপুর গ্রামের বটতলায় জমশেদ আলীর চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান করছিলেন হাসান। এসময় একটি সাদা মাইক্রোবাস সেখানে গিয়ে থামে। মাইক্রোবাস থেকে ৭/৮ জন নেমে হাসানের হাত ধরে মাইক্রোবাসে তোলার চেষ্টা করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে গিয়ে আটকের কারণ জানতে চায়। প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে হাসানকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে তারা স্থান ত্যাগ করে। তারপর থেকেই পরিবার তার কোনো হদিস পাচ্ছে না।
পরিবারের পক্ষ থেকে গাংনী থানা, মেহেরপুর ডিবি ও প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন থানা ও ডিবিতে খোঁজ নিয়েও কোনো সন্ধান পাননি।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ওখানকার অনেকেই বিষয়টি আমাকে বলেছেন। কিন্তু গাংনী থানা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। আমরা তাকে আটক করিনি। কিংবা অন্য কেউ আটক করেছে কিনা তাও জানিনা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাসানুজ্জামান হাসানের নামে এক সময় চরমপন্থি কর্মকা-ের অভিযোগে মামলা হয়। যা বিচারাধীন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি মেম্বার নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। বর্তমানে এলাকায় তার বিরুদ্ধে চরমপন্থিতার কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাই কী কারণে কারা তাকে নিয়ে যেতে পারে সেবিষয়ে কোনো কিছুই আঁচ করতে পারছে না পরিবার ও চাঁদপুর গ্রামের লোকজন।