গাংনীতে পরিবহনে ডাকাতি : নসিমনচালকে কুপিয়ে জখম : দাউদ গ্রেফতার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার অলিনগর এলাকায় শ্যামলী ও ফাতেমা পরিবহনের দুটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। একই সময় নসিমনের এক চালককে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকাতরা। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম রমজান আলী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত আবুল খয়েরের ছেলে। ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ব্যাপক অভিযানের পাশাপাশি তেরাইল গ্রামের দাউদ হোসেনকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। পালিয়ে গেছে তার সহযোগী একই গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মিলন।

ডাকাতির কবলে পড়া শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার মনিরুল ইসলাম জানান, শ্যামলী পরিবহনের একটি কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-১১২৪) মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলার অলিনগরে পৌঁছুলে সেখানে সড়কের ওপরে কয়েকটি গাছ দেখতে পান চালক। নিরুপায় হয়ে বাস থামালে অস্ত্রধারী কয়েক ডাকাত বাসের মধ্যে ঢুকে চালককে জিম্মি করে। অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের মালামাল কেড়ে নেয়। এ সময় ফাতেমা পরিবহনের অপর একটি কোচ একই পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ডাকাতরা সেটিতেও ডাকাতি করে। দুটি কোচ যাত্রীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকাসহ ২০টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। এদিকে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের রমজান আলী নসিমনে কাঠ বোঝাই করে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে ডাকাতদের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তার নসিমন ছিনিয়ে নিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে রমজানকে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। ডাকাতরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা রমজানকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রমজানের ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ক্ষতস্থানে কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তার হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে নামে পুলিশ। সন্ধ্যায় তেরাইল গ্রামের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় দাউদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে যায় তার সহযোগী মিলন হোসেন। ২০১২ সালে দাউদ হোসেনকে অস্ত্রসহ আটক করে ৱ্যাব। দাউদ ও মিলনের নামে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ডাকাতির সাথে জড়িত আরো কয়েকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।