গাংনীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী-শাশুড়ি আটক

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর সাহেবনগর গ্রামের গৃহবধূ মিতার মরদেহ ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী সামিরুল ইসলাম, শাশুড়ি ফরিদা খাতুন ও সামিরুলের বন্ধু টিপু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে হত্যার কারণ নির্ণয় পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।

গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন সাপেক্ষে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। বিকেলে মরদেহ নিয়ে যায় মিতার পরিবার। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহেরমাদি চরে মিতার পিতার গ্রামে মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ উত্থাপন করা হলেও এ বিষয়ে থানায় মামলা কিংবা অভিযোগ দেয়নি মিতার পিতার পরিবার। গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত (ওসি তদন্ত) কাফরুজ্জামান বলেন, হত্যাকাণ্ডের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদনে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া ছাড়া কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, সাহেবনগর গ্রামের দিনমজুর সামিরুলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী মিতা খাতুন মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়িতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানায় স্বামীর পরিবার। অপরদিকে মিতার পিতার পরিবারের লোকজনের দাবি, নির্যাতনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।