গল্প করার অভিযোগে যুবক-যুবতী আটক : এক লাখ টাকা দাবি

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: গল্পরত অবস্থায় যুবক-যুবতীকে আটক করে যুবকের আত্মীয়ের নিকট মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আলমডাঙ্গা থানার এক এএসআই ও এক কনস্টেবল পড়েছেন বিপাকে। শুধু গল্প করার অভিযোগেঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে একজন এএসআই কীভাবে তাদের গ্রেফতার করলেনএমন প্রশ্ন তুলে পদস্থ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুরের দরিদ্র আবুল কাশেমের মেয়ে রজনী ওরফে শিউলীগতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা হাউসপুর এলাকার ৮ কপাট চত্বরে তার প্রেমিক হাউসপুরের মামুনের সাথে গল্প করছিলো। এর কিছুক্ষণের মাথায় আলমডাঙ্গা থানার এএসআই মেজবাহ গিয়ে উপস্থিত হন। তিনি দুজনকেই ধরে থানায় নেন। প্রেমিক-প্রেমিকার নিকট পৌঁছনোর সাথে সাথে পুলিশ কীভাবে সংবাদ পেলো? এমন প্রশ্ন অনেকের। তাদের ধারণা শিউলী গোপনে পুলিশকে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে কথিত প্রেমিককে আটক করিয়েছে।ইতঃপূর্বেও সে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসী শিলন ও সুজনকে একইভাবে ফাঁসায় বলে এলাকাবাসী জানায়।এএসআই মেজবাহ পরে অবস্থাপন্ন মামুনের আত্মীয়ের নিকট তাকে ছেড়ে দিতে ১ লাখ টাকা দাবি করেন বলে একাধিক সূত্র জানায়। প্রথমে মামুনের পরিবার ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও পরে ৮০ হাজার টাকায় মিটমাট হয়। কথা হয় রাতে এএসআই মেজবাহ চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরলে টাকা দেয়ার পর প্রেমিকজুটিকে ছেড়ে দেয়া হবে। এরই মধ্যে ঘটে যায় বিপত্তি। প্রেমিকের পরিজনেরা বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। এক পর্যায়ে পুলিশ সুপার জানতে পারেন ঘটনাটি।

পুলিশসূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এসআই জুয়েলের নিকট জানতে চান তিনি ওই যুবক-যুবতীকে আটক করতে এএসআই মেজবাহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা। উত্তরে এসআই জুয়েল ঘটনাটি জানতেন না বলে পুলিশ সুপারকে জানান। একটি সূত্র জানিয়েছে,