গরমে ঘাটতি দেখে দিলেও শীতে চাহিদা মতোই সরবরাহ পাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জোন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা পাচ্ছেন নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত

স্টাফ রিপোর্টার: গরমে বিদ্যুত সরবরাহকারীদের গলদঘর্ম ফুঁটে উঠলেও শীতে ঠাণ্ডা মেজাজেই দিন কাটছে তাদের। বিশেষ করে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতিভুক্ত এলাকায় এবারের শীতে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। চাহিদা মতো বিদ্যুত দিতে পেরে সরবরাহকারীরা খানেকটা খোশমেজাজেই বললেন, চাহিদা মতো যদি গ্রীষ্মকালেও বিদ্যুত মিলতো, তাহলে গ্রাহকদের গরম শুনতে হতো না।

দেশের বিদ্যুত উৎপাদন ও সরবরাহকারীরা অবশ্য জানিয়েছে, দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ হয়েছে। কোনো কোনো দিন চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। শীতেই শুধু নয়, আসন্ন গরমেও যাতে গ্রাহকরা চাহিদা মতো বিদ্যুত পায় সে লক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশ থেকেও আমদানি করা হচ্ছে বিদ্যুত।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনের শীতকালীন বিদ্যুতের হালচিত্র জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চাহিদা ১২ মেগাওয়াট। চুয়াডাঙ্গা জোনে সাব স্টেশন ১২টি, এর মধ্যে উথলী (জীবননগর-১) উপকেন্দ্রে অভার লোডের কারণে ডিঙ্গেদহে নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। জীবননগর ২ নং সাব স্টেশনটি ৫ থেকে ১০ উন্নীত করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য দিয়ে বলেন, এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জোনে মোট সংযুক্ত গ্রাহক সংখ্যা ৬১ হাজার ৯শ ৮৫ জন। এর মধ্যে আবাসিক ৫৬ হাজার ৬শ ৪৮ এবং বাণিজ্যিক ৩ হাজার ১শ ৪৯টি। শিল্প ৭শ ৪১, সেচ ৫শ ৪১, সিআই ৮শ ৭৭ ও রাস্তার বাতি ২৯টি। নতুন সংযোগের আবেদন রয়েছে ৩ হাজারের অধিক। সংযোগ তার ও মিটার হার্ডওয়ারের কাজ করা হলে আবেদকদের সংযোগ দেয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোন গঠিত। শীতকালে এ জোনে ১২৩ মেগাওয়াট বিদ্যত চাহিদা। চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ছাড়াই গ্রাহকদের মাঝে তা বিতরণ করা হচ্ছে। গরমের সময় বিদ্যুত চাহিদা বেড়ে যায়। অথচ সরবরাহ হ্রাস পায়। এ কারণে বিগত দিনে বিদ্যুতের লোডশেডিঙে ক্ষুব্ধ হন গ্রাহক সাধারণ। আসন্ন গরমে বিগত দিনের মতো বেহাল অবস্থা হবে না বলেই আমাদের আশাবাদ।