গণমাধ্যমে তারেকের বক্তব্য প্রচারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার: আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো প্রকার বক্তব্য, বিবৃতি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত।

গতকাল বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর এ আদেশ দেয়। একই সাথে আদালত, অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি পলাতক থাকাবস্থায় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে। তিন সপ্তার মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকী লিনা তারেক রহমানসহ পলাতক আসামিদের বক্তব্য না প্রচারের বিষয়ে রিট আবেদনটি গতকাল দায়ের করেন। রিটে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিটিভির মহাপরিচালক (ডিজি), বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ, কালের কণ্ঠের সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) করা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সানজীদা খানম ও শ.ম রেজাউল করিম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তথ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রিট আবেদনকরী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা গণমাধ্যমকে বলেন, একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে কোনো পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে। এতে বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তার ওই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশে শান্তিভঙ্গ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। আদালত রিট আবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন