খেয়ালী প্রকৃতির কবলে পড়েছে শীত : ফাগুনের আঁচ

স্টাফ রিপোর্টার: খেয়ালী প্রকৃতির কবলে পড়েছে শীত। উত্তুরে হাওয়া তার তীব্রতা ছড়াতে না ছড়াতেই বিদায়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে ক’দিনের শীতের দাপট ছড়ালেও গতকাল শুক্রবার থেকে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কমে গেছে শীতের তীব্রতা।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ৯ দশমিক ১ ও সর্বোচ্চ কক্সবাজারে ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথায় বা কোন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি পূর্বাভাসে। ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এদিকে গতকাল দিনের বেলায় তেমন গরম পোশাক ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের মানুষ চলাচল করতে পেরেছে। ইতোমধ্যেই যেন ফাগুনের আভাস ফুটে ওঠেছে। উঁচু বৃক্ষের মগডালে পাতার আড়ালে বসা কোকিলের কুহুতানও শোনা গেছে গতকাল। আমগাছে মুকুল? তারও দেখা মিলতে শুরু করেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শনিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। ক্রমশ: বিদায় নেবে শৈত্যপ্রবাহ। দেশের প্রায় সর্বত্রই তাপমাত্রা দুই-এক ডিগ্রি সেলসিয়াস করে প্রতিদিন বাড়বে। আসবে বসন্তের দখিনা বাতাসের আমেজ। অবশ্য ফাল্গুনের শুরুতে দেশে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল দেশের নওগাঁ, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। আজ, কাল ও পরশুর মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও একই ধরনের বৃষ্টি দেখা দিতে পারে। পরিমাণ অবশ্য খুব বেশি হবে না। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।