খুনের দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ জরিমানা

মেহেরপুর গাংনীর বামন্দীর ব্যবসায়ী তক্কেল হত্যা মামলার রায়

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের বামন্দীর মুদি ব্যবসায়ী তক্কেল হত্যা মামলায় আসামি শিমুল ও বাসিদুল সর্দ্দারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মামলার অপর আসামি আজমত আলী ও আব্দুস সালামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রবিউল হোসেন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৫ মার্চ রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি গমক্ষেতে তকিরুল ইসলাম তক্কেলকে জবাই করে খুন করা হয়। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও বাদী বিবাদীর আইনজীবীর যুক্তি-তর্কের দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি বাসিদুল সর্দ্দার ও সোহেল রানা ওরফে শিমুলকে দোষী সাব্যস্ত করে উল্লেখিত দণ্ডাদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক রবিউল হোসেন। ৭ মার্চ সকালে তক্কেলের মরদেহ উদ্ধারের পর তার ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের শেষ দিকে আদালতে চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই আব্দুল মজিদ। এতে বামন্দী এলাকার চিহ্নিত ডাকাতদলের তৎকালীন সক্রিয় সদস্য বামন্দী হটাতপাড়ার বাসিন্দা বাসিদুল সর্দ্দার, সোহেল ওরফে শিমুল, আজমত আলী, ভবানিপুরের আব্দুস সালামকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা এ পর্যন্ত আত্মগোপনে রয়েছে। আজমত আলী পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর কিছুদিন হাজত খেটে জামিনে মুক্তি পায়। তারপর থেকেই সে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছে। গতকাল রায় ঘোষণাকালে আজমত আলী উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি আজমত আলীর আইনজীবী একেএম শফিকুল আলম। তবে নিহতের পরিবারের কারো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।