খালেদা জিয়ার সাথে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার বাসায় সাক্ষাৎ করেছেন। এ সাক্ষাৎ ছিলো আকস্মিক। এদিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী-পুত্র সাক্ষাৎ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী আসাদুজ্জামান রিপন দেখা করেন। বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পতাকাবাহী ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ফিরোজায় প্রবেশ করেন। বিকাল ৬টায় বাসা থেকে গাড়িটি বেরিয়ে যায়। সাক্ষাতের পর কোনো পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করা হয়নি। তবে ব্রিটিশহাইকমিশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাক্ষাৎকালে রবার্ট গিবসন অস্থিরতা কমাতে বেগম খালেদা জিয়ার গৃহে প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানান এবং আস্থা গড়ে তোলার অন্যান্য উপায় অনুসরণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতি বিএনপির সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রকৃত গণতান্ত্রিক সুযোগ করে দেয়ার ঘটনাকে তিনি স্বাগত জানান। গিবসন আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনী প্রচারণা হবে সহিংসতামুক্ত। পরিপূর্ণভাবে, আইনি ও বিধিবিধানের প্রয়োগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, এর আলোকে এসব নির্বাচনে, নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান জানান, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিলো। সাক্ষাৎকালে দেশের চলমান রাজনীতি, বিরাজমান সঙ্কট ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার গিবসন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করেন। দীর্ঘ ৯২ দিন গুলশান কার্যালয়ে থাকার পর গুলশানের বাসায় এটি প্রথম কোনো বিদেশি কূটনীতিকের সাথে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ। সালাহউদ্দিনের স্ত্রী-পুত্রের সাক্ষাৎ এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় খালেদা জিয়ার বাসায় যান মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। খালেদা জিয়ার সাথে কুশল বিনিময় করে কিছুক্ষণ পরেই তারা চলে যান। সাতটার কিছু পরে বাসায় যান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির সমর্থন প্রত্যাশায় তিনি মেয়রপদে প্রার্থী হন। কিন্তু সেখানে দল থেকে মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দেয়া হয়। আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে খালেদা জিয়ার সাথে পরামর্শ করতেই তিনি বাসায় যান বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে।