খালেদা জিয়াকে ‘চোর’ অপবাদ দেয়ার উদ্দেশে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার চতুর্থ দিনের যুক্তি উপস্থাপনকালে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ‘চোর’ অপবাদ দেয়ার উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। আমরা যা-ই বলি না কেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে যা কিছুই থাকুক না কেন এ মামলার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে কোনোভাবে বলতেই হবে ‘কেষ্ট বেটাই চোর’।

রাজধানীর বকশিবাজারের কারা অধিদফতরের মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ এই যুক্তি তুলে ধরেন খন্দকার মাহবুব। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে কে টাকা পাঠিয়েছে, আর ওই টাকা পাঠানোর উদ্দেশ্য কী ছিলো সেটা রাষ্ট্রপক্ষকে প্রমাণ করতে হবে। এই ট্রাস্টের ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মধ্যে কিছু টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করা হয়েছে। এরপর ওই জমি বিক্রি করে সেই টাকা ট্রাস্টের ফান্ডে জমা রাখা হয়েছে। তাহলে কীভাবে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে? বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান শুনানি গ্রহণ করে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা মুলতবি করেন। শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া।

গতকাল আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। শুনানিতে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেননি। খালেদা জিয়া ট্রাস্টের টাকা উঠিয়েছেন বা আত্মসাৎ করেছেন এরকম কোনো প্রমাণ দুদকের পক্ষ থেকে দেখানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে মামলার দায় থেকে খালেদা জিয়াকে খালাস দেয়া হোক।

শুনানিকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে জয়নুল আবেদীন, এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এম আমিনুল ইসলাম এবং দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যায়, কোনো বিষয়েই খালেদা জিয়ার বিপক্ষে বলা হয়নি। তিনি যে জড়িত ছিলেন না, সেটাই বরং প্রমাণিত হয়। বেগম জিয়ার চরিত্র হনন এবং জনগণের সামনে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।