ক্ষিতিশের সেই জমিতো নয় যেন জোম : এবার রক্তের হলিতে হাসপাতালে ৭

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মাঠে ধান পাকতে না পাকতে আবারও আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়া-অভয়নগর গ্রামের বিবাদমান দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। স্বগীয় ক্ষিতীশ মজুমদারের রেখে যাওয়া প্রায় দেড়শ বিঘা জমি নিয়ে স্থানীয় দু গ্রুপ ফের সংঘর্ষে মেতেছে। দু পক্ষেরই পাশে রয়েছে ক্ষমতাসীনদলের দু পক্ষ। স্থানীয়দের অনেকেই এ তথ্য দিয়ে বলেছে, গতপরশু বৃহস্পতিবার নাজিম-শরিফ জোয়ার্দার গ্রুপ বিবাদমান জমির ধান লোকজন নিয়ে কাটতে গেলে তাতে বাধ সাধে অপর পক্ষ ওহাব দারোগা গ্রুপ। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ওহাব দারোগা গ্রুপের ৭ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বহু বছর পূর্বে দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমানো এক ধনাঢ্য হিন্দু ব্যক্তির অনেক সম্পত্তি এক সময়ে শত্রু সম্পত্তিতে পরিণত হয়। অনেকে সেই সম্পত্তির জাল দলিল আবার আরেক পক্ষ সরকারিভাবে লিজ নিয়ে পরস্পর দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এই পরস্পর অপচেষ্টার সূত্র ধরে পূর্বে বেশ কয়েকবার খুন-খারাবি হয়েছে। কয়েক বছর রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি আবারও তা সংঘটিত করার পায়তারা চলছে।

গ্রামসূত্রে জানা যায়- কয়েক বছর ধরে ওই বিরাট বিবাদমান সম্পত্তি ছত্রপাড়ার নাজিম-শরিফ গ্রুপ দখল করে আছে। তারা সেই সম্পত্তিতে ধান লাগিয়েছিলো। গতকাল কিছু লোকজন নিয়ে তারা সেই বিবাদমান জমির ধান কাটতে যায়। সে সময় ওহাব দারোগা গ্রুপ তাতে বাধা দেয়। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিকেলে উভয়পক্ষ প্রস্তুতি নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সংঘর্ষে ওহাব দারোগা গ্রুপের ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলেন– অভয়নগর গ্রামের মৃত ইউসুফ মালিথার স্ত্রী শাহার বানু, ছেলে বিলাত হোসেন (৪৫), একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী উজালা খাতুন (৫৫), একই গ্রামের আরোজ মালিথার ছেলে শাহজাহান, একই গ্রামের মৃত রমজান মণ্ডলের ছেলে সিরাজ আলী, পিয়ার আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম কানাই ও বিলাত আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম। এদের সকলকে হারদী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, এই সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, ওসি (তদন্ত) মেহেদী রাসেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে গভীর রাতে শরিফ তার বাহিনি নিয়ে গ্রামে মহড়া দিয়েছে বলে গ্রামের অনেকে অভিযোগ তুলেছেন।