ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্যামেরুনের ৭ জন ফুটবলারের বিরুদ্ধে ব্রাজিলবিশ্বকাপে ম্যাচ পাতানোর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির ফুটবলকর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার কথা বলেছেন।ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশনের একটি কমিটি এখন খতিয়ে দেখবে, দলের ৭ খেলোয়াড় গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে প্রতারণাকরেছেন কি-না।জার্মানির সাময়িকী ডের স্পিগেলকে ম্যাচ পাতানোর বিষয়টি জানায় দণ্ডপ্রাপ্ত সিঙ্গাপুরের এক ম্যাচ ফিক্সার।এগ্রুপের দল ক্যামেরুন প্রথম রাউন্ডে তাদের সবকটি ম্যাচই হেরেছে। তবেঅভিযোগ উঠেছে, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচটি নিয়ে। ক্রোয়েশিয়ারবিপক্ষে মারিও মানজুকিচকে পেছন থেকে দৌঁড়ে এসে কনুই মারার কারণে লাল কার্ডদেখেন ক্যামেরুনের আলেক্সন্দ সং। এই ম্যাচেরই শেষের দিকে আবার ক্যামেরুনেরদুই সতীর্থ বেনোয়া আসু-একোতো ও বেঞ্জামিন মুকাঞ্জো নিজেদের মধ্যে কলহেজড়িয়ে পড়েন।আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানার জের ধরে এপ্রিলেফিনল্যান্ডে সাজাখাটা ম্যাচ ফিক্সার উইলসন রাজ পেরুমাল ডের স্পিগেলের সাথেআলোচনায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে একদম সঠিক অনুমান করেছিলেন। ওইম্যাচে ক্যামেরুনের হারের সঙ্গে একজনের লাল কার্ড দেখার বিষয়টিও বলেছিলেনতিনি। ম্যাচ পাতানো অভিযোগ ওঠার পর ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশন একবিবৃতিতে জানায়, শিগগিরই অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেজানায় ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশন।এই বিষয়টি নিয়ে ফিফা এখনও কোনোমন্তব্য করেনি। তবে ম্যাচ পাতানোর যে কোনো অভিযোগ তারা গুরুত্বের সঙ্গেনেয় বলে জানায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।ব্রাজিল বিশ্বকাপেক্যামেরুন পা-ই রেখেছিলো বিতর্ক মাথায় নিয়ে। ব্রাজিল রওনা হওয়ার আগে বোনাসেরদাবিতে ধর্মঘট করেছিল খেলোয়াড়রা। এমনকি ব্রাজিল না যাওয়ারও হুমকি দেয়তারা। পরে অবশ্য সমস্যার সমাধান হয়। মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোল হেরেটুর্নামেন্ট শুরু করে ক্যামেরুন। এর পর ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-০ গোলের হার এবংব্রাজিলে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় আফ্রিকার অদম্য সিংহনামে পরিচিত দেশটি।ক্রোয়েশিয়ারবিপক্ষে ম্যাচের পর ক্যামেরুনের কোচও যেন অন্যরকম একটা গন্ধ পেয়েছিলেন।ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগের সুরেই কথা বলেছিলেন।কিছু খেলোয়াড়ের আচরণ সন্তোষজনক ছিলো না, এমনকি দল যখন ১১ জনের ছিল তখনও (সং লাল কার্ড দেখার আগে)। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিলো না।