কৌটো খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে উড়ে গেছে বৃদ্ধার হাত : বাড়ির জামাই গুরুতর আহত

দর্শনা অফিস/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: কুড়িয়ে পাওয়া বোমায় বৃদ্ধা খাদিজার হাত উড়ে গেছে। এ ঘটনায় এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছে। নার্সারি থেকে কুড়িয়ে পাওয়া জর্দার কৌটা কৌতূহল বশত খুলতে গিয়ে বিস্ফোরিত বোমায় এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধা খাদিজার একটি হাত কব্জি থেকে কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের মৃত ফকির হালসানার স্ত্রী খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজা (৮০) গতকাল বৃহস্পতিবার মেজ ছেলে খলিলুর রহমানের বাড়িতে ছিলেন। দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববতী মাঠের রকিবুল ইসলামের নার্সারিতে জ্বালানির জন্য শুকনো পাতা কুড়োতে যান। বাগানে তিনটি কৌটা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। কৌতূহলবশত তিনি শাড়ির আঁচলে বেধে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর কাউকে না জানিয়ে ঘরের একটি স্থানে সেগুলো লুকিয়ে রাখেন। গোসল ও দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে বাড়িতে যখন লোকজন ছিলো না তিনি সেই ফাঁকে পানের বাটা নিয়ে বসেন। তার জানতে ইচ্ছে হয় কুড়িয়ে পাওয়া তিনটি কৌটার মধ্যে কী আছে? বেলা ৫টার দিকে সবার অজান্তে তিনি জর্দার কৌটা আকৃতির বোমাটি খোলার চেষ্টা করেন। সাথে সাথে একটি কৌটা বিস্ফোরিত হয়। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে আরেকটি বিস্ফোরিত হয়। এতে বৃদ্ধা খোদেজার বাঁ হাত উড়ে যায়। উড়ে যায় ডান হাতেরও অংশবিশেষ। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত হয় তার। বোমার বিকট শব্দে চারিদিক থেকে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এ সময় অবশিষ্ট একটি কৌটা পা দিয়ে নাড়তে যায় বৃদ্ধার মেজ ছেলের নাতজামাই সাইফুল (২৫)। সেটিও বিস্ফোরিত হলে সাইফুলের ডান পায়ের মাংস উড়ে যায়। ঘটনার পর মদনা গ্রামের ওই বাড়িতে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে। দুজনকেই সন্ধ্যার আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আনা হয়। সাইফুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সাইফুল একই উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার আক্কাস আলীর ছেলে।
এদিকে বৃদ্ধা খোদেজার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। বাঁ হাত কব্জি থেকে কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলছে। কারা বা কে কী কারণে ওই নার্সারিতে বোমা রেখে যায় তা এখনো জানতে পারেনি গ্রামের লোকজন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী আশা করছে।