কোটচাঁদপুরে ভোমরাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিলেন এক সহকারী শিক্ষক

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে ইতোমধ্যেই অবৈধ পন্থায় দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে নিজের ভাই মাদরাসার সহকারী শিক্ষককের অংশগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস চলতি বছরের ২৪ মার্চ ৮৭ নং স্মারকে উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী ৫ জন প্রার্থী ওই পদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ১৬ এপ্রিল বাছাই কমিটি বয়সের কাগজপত্রে ত্রুটি দেখিয়ে ফজলুর রহমান ও সাদ্দাম হোসেন নামের দুজনের আবেদনপত্র বাতিল করে। ২৩ এপ্রিল অপর তিন আবেদনকারীকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হলে আজিজুর রহমান নামে মাত্র একজন আবেদনকারী হাজির হন। বাকি দুজন জানতে পারেন আগেই আজিজুর রহমানের নিকট থেকে নিয়োগ কমিটি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছে। সে কারণে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি বলে জানান। এতে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ বাতিল হয়ে যায়। এদিকে বাছাইয়ে আবেদনপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থী ফজলুর রহমান গত ১৩ জুন অবৈধ পন্থায় পুনরায় নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ নিম্ন আদালতে নিয়োগাদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। পরে জেলা জজ আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়ালে নিম্ন আদালতের রায় স্থগিতসহ আদালত সমস্ত নথি তলব করেন। এ আদেশের কপি ২২ জুন নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম জোয়ার্দ্দার বলেন, আদালতের রায়ের আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের কোন কথা না থাকায় পুনরায় নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, আজিজুর রহমানকে নিয়োগ দেবার জন্য নিয়োগ কমিটির পরামর্শে দ্বিতীয়বার আবেদন করানো হয় আজিজুরের ভাই হাসান আলী, বন্ধু লোকমান হোসেন এবং পূর্বের আবেদনপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থী লালন মিয়া ও ভোমরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হাবিবুল আলমকে দিয়ে। পরে প্যানেল তালিকায় আজিজুর রহমানকে ১ নম্বরে রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। একজন সহকারী শিক্ষকের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কারণ জানতে চাওয়া হলে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি এমদাদুল হক খোকন ও প্রধান শিক্ষক শামিম জোয়ার্দ্দার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তারা অর্থ লেনদেনের কথা অস্বীকার করেন। ভুক্তভোগীরাসহ এলাকার সচেতনমহল নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছে।