কোটচাঁদপুরে কপোতাক্ষ নদের জায়গা দখল করে চলছে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ

শাহনেওয়াজ খান সুমন: মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের জায়গা দখল করে সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এ ভবন নির্মাণ করছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বেনেপাড়ার আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। আলামপুর ব্রিজঘাট নামক স্থানের অদূরে চলছে এ নির্মাণ।
এলাকাবাসী বলেছে, নদের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আর আলাউদ্দিনের দাবি তিনি আলামপুর গ্রামের কামরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জায়গাটি কিনে বাড়ি করছেন। কামরুজ্জামান দাবি করেছেন এটা নদের জায়গা নয়। তিনি ওই জায়গার মালিক। মালিকানা জায়গায় ঘর নির্মাণ চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোটচাঁদপুর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। এ নদের উত্তরে কোটচাঁদপুর আর দক্ষিণে মহেশপুর উপজেলা। দক্ষিণে মহেশপুর উপজেলা সীমানার মধ্যে আলমপুর ব্রিজঘাট নামক স্থানের পূর্বদিকে পাকাঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কোটচাঁদপুর বেনেপাড়ার আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি চার কক্ষের ভবন তৈরি করছেন। ইতোমধ্যে দু থেকে তিন ফুট নির্মাণ হয়ে গেছে। দ্রুত গতিতে নির্মাণ এগিয়ে চলেছে। যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে তার দু পাশে এখনও নদের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে। তারপরও মাটি দিয়ে ভরাট করে পাকা ভবন করা হচ্ছে। মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসসূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদের প্রস্থ ২৪০ ফুট। ভবনটি ওই ২৪০ ফুটের মধ্যেই নির্মাণ হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, যে স্থানটিতে আলাউদ্দিন পাকা ঘর নির্মাণ করছেন সেটা কপোতাক্ষ নদের জায়গা। বর্ষা মরসুমে এ স্থানে পানিতে থই থই করে। সেই স্থানটি ব্যক্তি মালিকানার দাবি করে পাকা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, আলামপুর গ্রামের কামরুজ্জামান নানা কাগজ তৈরি করে নদের জমি বিক্রি করছেন। সেই জমি কিনে যারা বাড়ি করছেন তারা ঠকবেন।
এ ব্যাপারে আলাউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের কামরুজ্জামান এর কাছ থেকে তিনি ১০ শতক জমি কিনেছেন। এ জমিতে তিনি ঘর করছেন। তিনি দাবি করেন স্থানটি দেখলে নদ এর মধ্যে মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে ব্যক্তি মালিকানার জায়গা। আলামপুর গ্রামের কামরুজ্জামান এর সাথে আলাপ করলে তিনি দাবি করে জায়গাটি তার মালিকানাধীন। ১৮৩ নম্বর আলামপুর মৌজার ৭১৭ নম্বর দাগের জমি। তিনি নদ এর জায়গা দখল করেননি বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আজমপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আক্কাচ আলীর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, বিষয়টি অবহিত ছিলেন না। তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তাছাড়া কপোতাক্ষ নদের জায়গা দখল করতে কোনোভাবেই দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন।