কোটচাঁদপুরে অপহরণ নাটক সাজাতে গিয়ে কলেজছাত্র শ্রীঘরে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: পিতার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে নিজেকে নিয়ে নিজেই অপহরণ নাটক সাজাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন আল আমিন নামে এক কলেজছাত্র। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিনি এখন শ্রীঘরে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়রামপুর গ্রামে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবির জানান, গত ২১ জানুয়ারি উপজেলার দয়রামপুর গ্রামের নূর ইসলাম তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে আল আমিনকে (১৮) অপহরণ করা হয়েছে বলে একটি জিডি (জিডি নং- ৮৪৫ তাং-২২/০১/১৬) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয় অপহরণকারীরা মোবাইলফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করেছে। অন্যথায় ছেলেকে হত্যা করা হবে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করে এবং দয়ারামপুর গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে অপহৃত আল আমিনের বন্ধু সাগর ও তার মা রেক্সনা বেগমকে পুলিশ আটক করে। পুলিশ সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে আল আমিন অপহরণ হয়নি। আল আমিনের প্ররোচণায় এমন অপহরণ নাটক করে মোবাইলফোনের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। পুলিশকে সাগর আরো জানায়, আল আমিন পাবনার মধুছন্দা নামের একটি হোটেলে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে টাকা দাবি করছে। চতুর আল আমিন পুলিশি তৎপরতার খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে নিজ হাতে নিজের দুই পা ছুরি দিয়ে কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে আল আমিন পিতা-মাতাকে জানায় সে অপহরণকারীদের ডেরা থেকে পালিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার তাকে কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ আল আমিনকে গ্রেফতার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অকপটে অপহরণ নাটকের কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিনের দুলাভাই মিজানুর রহমানকে আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাগরের মা রেক্সনা বেগমকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। নিজের অপহরণ নাটকের নায়ক আল আমিন কোটচাঁদপুর পৌর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।