কেরু অ্যান্ড কোম্পানির শিক্ষাবৃত্তি পেলো ২৩০ শিক্ষার্থী ও ৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অর্থের অভাবে কারো পড়াশোনা বন্ধ হবে না : জেলা প্রশাসক

 

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বৃহত্তর রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উদ্যোগে জেলার ২৩০ মেধাবী শিক্ষার্থী ও ৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বুঝে ৫, ১০ ও ২০ হাজার এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণি অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ১, ২ ও ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।

কেরুর মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির সদস্য সচিব কৃষিবিদ আজিজুর রহমান। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান এবং আখচাষি প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন, আব্দুল আজিজ ও নজরুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, কেরুর তালিকাভুক্ত ১০ হাজারের আখচাষির কাছ থেকে সংগৃহীত ১৪ লাখ টাকা এলাকার দরিদ্র ও মেধাবীদের শিক্ষার উন্নয়নে বিতরণ করা হলো। অর্থের অভাবে যদি কারো পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তাহলে তারা যেন আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমি সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো। এছাড়া আগামীতে আরো বেশি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা প্রদান করা হবে। তবে আখচাষ বৃদ্ধিতে চাষিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ঐতিহ্যবাহী এ মিলকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলের ভূমিকা থাকা দরকার।

অনুষ্ঠানে হাসাদহ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপস্থাপনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় সহকারী মহাতাব হোসেন ও কেরুর হিসাবরক্ষক সাইদুজ্জামান বাদশা।