কেরুজ চিনিকল আবারো যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে

ত্রটি সারিয়ে তুলতে চলছে তোড়জোড় : আখ মাড়াই বন্ধ

 

দর্শনা অফিস: ৭৮ বছর বয়সী কেরুজ চিনিকলটির দিনদিন সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিলের সমস্যা সমাধানে বারবার হিমসিম খাচ্ছে মিল কর্তৃপক্ষ। আবারও যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়তে হলো কেরুজ চিনিকলটি। বন্ধ হয়ে গেছে আখ মাড়াই কার্যক্রম। ত্রুটি সারিয়ে তুলতে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। গতকাল রোববার ছিলো কেরুজ চিনিকলের ২০১৩-১৪ আখ মাড়াই মরসুমের ৫০ দিবস। ৫০ দিবস পর্যন্ত আখ মাড়াই করা হয়েছে ৫১ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন। এ আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করা হয়েছে ৩ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের গড় হার ছিলো ৬ পয়েন্ট ৩৫ শতাংশ। এদিকে গত শনিবার রাত ২টার দিকে মিলের ক্যান কেরিয়ার সমস্যাজনিত কারণে আখমাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুতগতিতে ক্যান কেরিয়ার সমস্যা সমাধান করে গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শুরু করা হয় মাড়াই কার্যক্রম। ১ ঘণ্টার মাথায় পৌনে ১২টার দিকে ইঞ্জেকশন পাম্প সমস্যার কারণে ফের বন্ধ হয় আখমাড়াই কার্যক্রম। সে থেকেই মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতে নিরলস পরিশ্রমে চলছে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা। রাত ১০টা পর্যন্ত মেরামত করে তোলা সম্ভব হয়নি ফলে মিলগেটে আখ নিয়ে আসা কৃষকরা খেয়ে না খেয়ে চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। রাতেই কৃষকদের দাবির মুখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান কৃষকদের কষ্ট লাঘবে আখ ওজনের সিদ্ধান্ত নেন। রাত ১১টা পর্যন্ত সমস্যা দূরীকরণ সম্ভব না হলে আখ ওজন নেয়া শুরু করা হবে বলেই ওই সময় তিনি জানান।

আখচাষিদের উদ্দেশে আজিজুর রহমান বলেন, কৃষক ভাই ও শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ত্রুটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনে রাত কাটিয়ে দেবো। কৃষকদের কষ্ট ভাগাভাগি করে নেবো। মিলের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার আন্তরিকতায় কৃষকরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এ চিনিকলটি এ এলাকাকে অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিসহ বিভিন্নভাবে আলোকিত করে রেখেছে। সরকারের এ মূল্যবান সম্পদটি বন্ধ হলে একদিকে যেমন অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে এলাকা, তেমনিভাবে বাড়বে বেকারত্ব। তাই মিলটিকে টিকিয়ে রাখতে সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা কামনা করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান।