কেন্দ্র দখল সহিংসতা ও কারচুপির ভোটে প্রার্থীসহ প্রাণ হারালেন ১১ জন

 

স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ-ইউপি নির্বাচনেও আগের চারধাপের মতো গুলি, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ নানা অনিয়ম হয়েছে। ব্যাপক সহিংসতায় চার জেলায় গুলি, টেঁটা এবং সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে পাঁচ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মোট ১১৩ জন প্রাণ হারালেন। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপের নির্বাচনে অন্তত ১১ জন নিহত ও দেশের ৩৫ জেলায় ৩৯ গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ।

নিহতরা হলেন- জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাজেদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, নুর ইসলাম ও আলতাফ। চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোহাম্মদ ইয়াছিন,  মোহাম্মদ হোসেন ও বাবুল শীল। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সৈয়দ আহমেদ  ও শাকিল আহমেদ। কুমিল্লার তিতাসে কামালউদ্দিন এবং যশোরের গৌরীঘোনা ইউনিয়নে মমতাজ সরদার। এছাড়া নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছেন।
এদিকে ভোট গ্রহণের সময় ভোটারদের বাধা, জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে সারা দেশে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রিসাইডিং অফিসার, চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বার প্রার্থীসহ ১৭ জনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ ও অনিয়মের কারণে ১২০ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে কমিশন। নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৫ জন প্রার্থী। ইসি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে ৭১৭ ইউপিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩২৫৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজারের বেশি ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪১ জন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই সব পদ বাদে বাকিগুলোতে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ১৫টি দলের প্রার্থী রয়েছে। ২টিতে আওয়ামী লীগ ও ১০০টিতে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রথম চার ধাপের মতোই পঞ্চম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এবার আইনশৃংখলা বাহিনীকে সতর্কতামূলক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

পঞ্চম ধাপে ৭১৭ ইউপিতে ভোট হবে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ হাজার ২৫৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজারের  বেশি ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ১৫টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৭২৭ জন ও স্বতন্ত্র ১ হাজার ৫২২ জন। দুটিতে আ’লীগের কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপির প্রার্থী নেই ১০০ ইউপিতে।

দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ৭১৫টিতে ও বিএনপির ৬২৯টিতে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১৭৭টি, জাসদ ২১টি, বিকল্পধারা ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৩টি, ইসলামী আন্দোলন ১২২টি, জেপি ২টি, ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি, এলডিপি ৬টি, সিপিবি ৫টি, জেএসডি ১টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৬টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৭টি এবং অপর একটি দলের ১ ইউপিতে প্রার্থী রয়েছে।

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৪২ জন ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর নানা কারণে এ পর্যন্ত ১৪টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এতে ভোটার ১ কোটি ১০ লাখের বেশি। ভোট কেন্দ্র সাত হাজারের বেশি। নির্বাচনে এক লাখের বেশি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন।

     জামালপুর: জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কুঠারচর ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাকিরুজ্জামান রাখাল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে জাল ভোট দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনজন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার শেখপাড়ার আফজাল শেখের ছেলে মাজেদ মিয়া (১৪), একই এলাকার নূর ইসলাম (৫৫) ও কুতুবের চর গ্রামের জিয়া (৩২)। জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নিজামউদ্দিন তিনজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জামালপুরের এসপি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছিলো। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়ার সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালান। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য, তিন আনসার সদস্যসহ আটজন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ১শ টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণও স্থগিত আছে। নিহত কিশোর মাজেদের চাচা কালাম মিয়া বলেন, তার ভাতিজা ভোট দেখার জন্য ওই কেন্দ্রে যায়। সংঘর্ষ বাধলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। তারপর সেখান থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

নোয়াখালী: প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, বেলা ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র দখল নিয়ে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের পুলিশ ও ৱ্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই পক্ষকে ধাওয়া করে। এ সময় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়া পার্শ্ববর্তী ছোট হোসেনপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মদ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে গিয়ে পাশের দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে পাকা রাস্তায় পড়েন। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে সুজায়েত উল্লা বলেন, তার বাবা শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। এরপরও ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও ৱ্যাবের ধাওয়া খেয়ে কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী একটি দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার ওপর পড়েন। হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

অন্যদিকে, জিরতলী ইউনিয়নের কে বি ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত এসে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে সিল মারার চেষ্টা করেন এবং কিছু ব্যালট ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় কিছু সময় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মানিক রতন সরকার। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহা. আবুল খায়ের এসে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে যান। মানিক রতন বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার যাওয়ার পর বেলা একটার দিকে কেন্দ্রের চারদিক থেকে বহিরাগত লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল হামলা চালাতে থাকে। এ সময় পুলিশকে নির্দেশ দিলে তারা বন্দুকের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন।

স্থানীয় লোকজন বলেন, পুলিশের গুলির এ ঘটনায় সদস্য প্রার্থী গোলাম মোস্তফার ভাতিজা মো. শাকিল (১৭) এবং জসিম উদ্দিন (২৮) ও মো. রাব্বি (২২) নামের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া পিটুনিতে ও ধাওয়া খেয়ে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১০ জন। পরে শাকিল ও রাব্বিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে কুমিল্লায় শাকিলের  মৃত্যু হয়। নিহত শাকিলের মা বকুল বেগম বলেন, তাঁর ছেলে ফল দোকানে চাকরি করতেন। দুপুরে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেখতে গিয়েছিলেন। ওই সময় কেন্দ্রে মারামারি লাগলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে শাকিল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত ও সড়কের ব্যারিকেড সরাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করেছে দাবি করে বলেন, ওই ঘটনার কেউ আহত হয়নি। শাকিল ওই পথ দিয়ে যাওয়ার পথে ভয়ে পালানোর সময় সড়কে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। তবে ঘটনার বিষয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

চট্টগ্রাম: দুপুর ১২টার দিকে পটিয়া আশিয়া ইউনিয়নের আছদ আলী ফকির মাজার সংলগ্ন শাহআমানত হেফজখানা ও এতিমখানা কেন্দ্রের বাইরে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় বাবুল শীল (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তার ছেলে জিতেন্দ্র শীল বলেন, ‘আমার বাবা ইউপি সদস্য সৈয়দ নুরুল করিমের পক্ষের কাজ করেছে বলে তাকে মারধর করা হয়।’ পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেব আরতি চৌধুরী বলেন, ‘তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাইনি। আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’ এ ছাড়া বড়উঠান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো. ইয়াছিনকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শাহ মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মান্নান খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তাকে কোপানো হয় বলে আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন। মো. ইয়াছিনকে বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দিকে একই ঘটনায় গুরুতর আহত মোহাম্মদ হোসেন (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে মারা যান। চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির তত্ত্বাবধায়ক জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইয়াছিনের প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের পেট, বুক ও মাথায় কোপানো হয়েছে। মোহাম্মদ আলীই ইয়াছিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বিকেলের দিকে পটিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া বেশ কিছু কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার কথা জানান।

কুমিল্লা: তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিনকে কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে নাগেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বেলা তিনটায় ওই ভোটকেন্দ্রে যান মো. কামাল উদ্দিন। এ সময় তাঁকে লাঞ্ছিত করেন বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. তোফায়েল আহাম্মদ ভুঁঞা ও তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় কামাল উদ্দিন আত্মরক্ষার্থে তাঁর পিস্তল থেকে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তখন বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকেরা তাকে রামদা দিয়ে কোপান, লাঠি দিয়ে পেটান ও টেঁটাবিদ্ধ করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কামালের বড় ভাই মোজাম্মেল হক দাবি করেন, বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মদ ভুঁঞা, তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন সরকার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব-২ আবদুল মতিনের নির্দেশে কামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নুর বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথার ডান পাশে ও ডান কানের নিচে ভারী আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ছাড়া পিঠে তিনটি, বুকে তিনটি ও নাভির নিচে টেঁটার আঘাতের তিনটি চিহ্ন আছে। তাঁকে কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।