কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পাউয়ারটিলার ও থ্রেসার বিতরণকালে হুইপ ছেলুন

 

কৃষি যন্ত্রের যথাযথ ব্যবহার করে কৃষিতে আরো উন্নতি ঘটাতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প ২য় পর্যায়ের ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের জন্য ৩০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তায় সদর উপজেলার ৪৪ জন দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পাউয়ারটিলার ও পাউয়ার থ্রেসার দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন প্রধান অতিথি হিসেবে এসব বিতরণ করেন। কৃষিযন্ত্র বিতরণ শেষে সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে দেয়া পাঁচটি টলি সিভিল সার্জনের হাতে তুলে দেন হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, ‘এখানকার কৃষকরা বছরে চারটি ফসল ফলায়, যা বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। কৃষক ভাইয়েরা মাঠে খাটছেন। চাষাবাদকালে কোনো সমস্যা হলে কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া কৃষি যন্ত্রের যথাযথ ব্যবহার করে কৃষিতে আরো উন্নতি ঘটাতে হবে।’ কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ উপলক্ষে গতকাল রোববার বেলা ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত ও শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মেজবাউল হক, ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগমসহ উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। যেসব দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিকে ৩০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে পাউয়ারটিলার দেয়া হয়েছে তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের আনোয়ার জোয়ার্দ্দারের ছেলে মোশারফ হোসেন, ভিমরুল্লা গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম ও সাতগাড়ি গ্রামের ইউনুস আলী, শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের শুকুর আলীর ছেলে মুক্তার আলী, জালশুকা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে তাহাজ উদ্দিন, ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম ও জোয়াদ আলীর ছেলে সুবারেক মণ্ডল, শ্রীকোল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাসুদ রানা, শঙ্করচন্দ্র গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও ইউসুফ আলী, বেগমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান, আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম, দোস্ত গ্রামের মান্নান গাজির ছেলে হান্নান ও নেহালপুর গ্রামের ইবাদত আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান, পদ্মবিলা ইউনিয়নের কুশোডাঙ্গা গ্রামের রবগুল হোসেনের ছেলে সুমা আলী, সুবদিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ইকবাল বিশ্বাস, ধুতুরহাট উসমান আলীর ছেলে বাবর আলী, গ্রামের বুড়োপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল গণি, গোপিনাথপুরের উম্বাদ আলীর ছেলে উমর আলী ও বরকত আলীর ছেলে মজিত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মৃত নুও বকস মণ্ডলের ছেলে আব্দুর রহিম, বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে কবির মিয়া, মহাম্মদজুমা গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে মুশারেফ হোসেন, ভুলটিয়া গ্রামের কুদ্দুস আলীর স্ত্রী ময়না বেগম ও সলেমান আলীর ছেলে সুন্নত আলী, তিতুদহ ইউনিয়নের খাসপাড়ার আব্দুল হক ব্যাপারীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন, তেঘরি গ্রামের মৃত হাজি আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তৈয়ব আলী, গড়াইটুপি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে লিটন আলী ছোটশলুয়া গ্রামের মৃত জলিল মণ্ডলের ছেলে আক্তার হোসেন, বড়শলুয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ফজলুর রহমান, বোলদিয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রায়হান আলী, তিতুদহ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মাহবুবুর রহমান ও সুলতান মণ্ডলের ছেলে আব্দুল গফুর, মোমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম আজাদ, আমিরপুরের ইউসুফ আলীর ছেলে শাহেদ আলী, সরিষাডাঙ্গার সাবদার আলীর ছেলে শহিদুল আলী, কাথুলীর আমজাদের ছেলে রতন ইসলাম ও মৃত জব্বারের ছেলে আব্দুল বারী এবং আলুকদিয়া ইউনিয়নের মনিরামপুরের মৃত মুবারেক সর্দ্দারের ছেলে মো. মুসারেফ ও ঝোড়াঘাটা গ্রামের আব্দুল মোল্লার ছেলে মুন্নাফ আলী।

এছাড়া পাউয়ার থ্রেসার পাওয়া দরিদ্র ও প্রান্তিক চারজন কৃষক হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে অহিদুল ইসলাম, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম, তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান ও কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসনহাটি গ্রামের মৃত নিহাল মণ্ডলের ছেলে ইবাদত মণ্ডল। এদের মধ্যে ফুলবাড়ি গ্রামের আমিরুল ইসলাম ৩০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে একই সাথে পাউয়ারটিলার ও পাউয়ার থ্রেসার দুটিই পান। এতে অন্যান্য কৃষকরা তাকে সৌভাগ্যবান কৃষক হিসেবে অভিহিত করেন।