কুড়ুলগাছির গৃহবধূ বিপাশার বিরুদ্ধে ঠিকানা গোপন করে চাকরি নেয়ায় বিভাগীয় তদন্ত সম্পন্ন

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: স্বামীর ঠিকানা গোপন করে পিতার ঠিকানায় চাকরি নেয়া কুড়ুলগাছির গৃহবধূ বিপাশা খাতুনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল তদন্ত সম্পন্ন করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পেশ করা হতে পারে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের খুলনার সাতক্ষীরা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বেগম রওশন আরা জামান ওই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ ফজলুল হকের আদেশে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী বিপাশা খাতুনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ১৯৮৫’র ৭ (২) ধারায় রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগসূমহ তদন্তক্রমে প্রতিটি অভিযোগের ওপর মতামতসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি লিখিতভাবে নেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলো কি-না তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হবে।

উল্লেখ্য, দামুড়হুদা কুড়ুলগাছির সেনাসদস্য মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী বিপাশা খাতুন ২০১৩ সালে স্বামীর ঠিকানা গোপন করে পিতার ঠিকানা দামুড়হুদার ফকিরপাড়া ব্যবহার করে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে চাকরি নেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন একই পদে অপর চাকরি প্রত্যাশী ফকিরপাড়ার বদর উদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া সুলতানা। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, বিপাশা খাতুনের পিতার বাড়ি ফকিরপাড়ায় হলেও তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা। তার নামে চুয়াডাঙ্গা পৌরকর, পানির বিল ও সকল প্রকার প্রমাণাদিসহ বিপাশা কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের নাগরিক এ সংক্রান্তে প্রায় ৫ শতাধিক গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষরের কপিও তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়।

ভোটার হওয়ার স্থান বদল নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অবশ্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু দাউদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।