কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সম্পাদক আটক

পরিবারের দাবি র‌্যাব ধরেছে র‌্যাব বলছে জানা নেই

 

kushtia-press-brifing-news

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে গাজীপুর থেকে ৱ্যাব সদস্যরা আটক করেছে বলে দাবি করেছে সবুজের পরিবার। গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।

সবুজের মা সাহেদা বেগম বলেন, শুক্রবার ভোর রাত পৌনে ৫টার দিকে গাজীপুর জেলার মওনা এলাকার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে আমার ছেলে সবুজ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুকে আটক করে। একই সাথে ৱ্যাব সদস্যরা ওই রিসোর্টের মালিক মনিরুজ্জামানকেও আটক করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে সবুজ এবং লাবুর আটকের বিষয়ে ৱ্যাবসহ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদেরকে কোনো তথ্য জানানো হচ্ছে না বলে তারা দাবি করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে সবুজের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমার স্বামী সবুজ যদি অপরাধ করে থাকে বা অন্যায় করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। সংবাদ সম্মেলনে সবুজের বাবা শেখ কাইজার হোসেন ছোট, তার মা সাহিদা বেগম, স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া, ছেলে শাহেদ হোসেন প্রেম, মেয়ে সুমাইয়া ফেরদৌসসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে লাবু এবং সবুজের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর জেলার মওনা এলাকার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টের অপারেশন ম্যানেজার শিমুল সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার ভোরে ৱ্যাব সদস্যরা ওই রিসোর্টের প্রধান ফটকের গ্রিল কেটে সেখানকার নৈশপ্রহরীদের বেঁধে রেখে প্রথমে রিসোর্টের মালিক মনিরুজ্জামানকে আটক করে পরবর্তীতে ওই রিসোর্ট থেকে  কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে আটক করে নিয়ে যায়। শিমুল জানান, এ সময় রিসোর্ট থেকে ৩টি ওয়ারলেস সেট ও ৫টি মোবাইলফোনও জব্দ করে নিয়ে যায় ৱ্যাব সদস্যরা। স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাউসার মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে ৱ্যাব সদস্যরা গাজীপুর থেকে আটক করেছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরে জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচি শেষে আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সবুজ নামে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হন। এ ঘটনার পরদিন নিহত সবুজের ভাই আরিফ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।