কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধ : জাসদ নেতা পাঞ্জের হত্যা মামলার আসামি নিহত

 

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে জাকির হোসেন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবসের ৱ্যালির পর দু পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের কর্মী সবুজ নিহত হওয়ার ঘটনার মামলার সন্দেহজনক আসামি ছিলেন তিনি।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার জগতি গ্রামের একটি বাগানে ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ধারালো অস্ত্র ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। জাকিরের বাড়ি মিরপুর উপজেলার কলবাড়িয়া গ্রামে। বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। রাতে সাংবাদিকদের কাছে কুষ্টিয়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম দাবি করেন, সবুজ হত্যা মামলার আসামিরা জগতি গ্রামের একটি বাগানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে জানতে পারেন তারা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল সেখানে অভিযানে চালায়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দু পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা একই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সাব্বিরুল আলম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য জাকিরের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালমর্গে রাখা হয়েছে।

সবুজ নিহত হওয়ার ঘটনায় গত রোববার থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। সবুজের মেজো ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেনকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। শোক দিবসে জেলা আওয়ামী লীগের ৱ্যালি শেষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগের সমর্থক সবুজ হোসেন (২৪) নিহত হন।