কুনিও ও রহমত খুনে জড়িত জেএমবি

স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার রানা মাসুদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আদালতকে রানা মাসুদ জানিয়েছেন, তিনিই জাপানিকে গুলি করেন। কাউনিয়া উপজেলার বাজেমজকুর গ্রামের মাজারের খাদেম ও আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলীকে (৫৯) হত্যা এবং বাহাই সম্প্রদায় নেতা রুহুল আমিনকে হত্যাচেষ্টায়ও যুক্ত রয়েছেন তিনি।
রংপুর পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, রানা জানিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশে ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতেই তারা (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ- জেমএমবি) এ কাজ করেছে। রংপুর বিভাগে নাশকতার জন্য জেএমবি আবারও সংগঠিত হচ্ছে। এছাড়া মঙ্গলবার কুনিও হোশি হত্যার ঘটনায় পুলিশ ইসাহাক আলী নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
৩ অক্টোবর কাউনিয়ার কাচু আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ৭ নভেম্বর রংপুর নগরীর আইডিয়াল মোড়ে রুহুল আমিনকে গুলি করা হয়। ১০ নভেম্বর বাজেমজকুর গ্রামে খুন হন রহমত আলী। পীরগাছার পশুরা টাঙ্গাইলপাড়া থেকে রানা মাসুদকে ২ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। তার তথ্যমতে ওই রাতেই হাত বোমা তৈরির ৫৪টি কৌটা ও ৩টি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে। মামলা হয়। ৩ ডিসেম্বর কাউনিয়া থানা পুলিশ (দুই দফায়) ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় তাকে। সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রানা সহযোগীদের নিয়ে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে সে। রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার কথাও স্বীকার করে। রানা আরও জানায়, তার সাথে জেএমবির রাজশাহী আঞ্চলিক কমান্ডার সাদ্দাম কুনিও কিলিং মিশনে ছিলো। রানা মাসুদ কল্যাণী ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। সাদ্দাম সোম নারায়ণ স্কুলের পিয়ন আবদুর রহমানের ছেলে। কিলিং মিশনে জড়িত জেএমবির আরও কয়েকজনের নাম-পরিচয়ের তথ্য এখন পুলিশের হাতে।’ রানা মাসুদ জবানবন্দি দেয়ায় খুনের রহস্যও উন্মোচন হল বলে জানান তিনি।