কালীগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করে বিআরডিবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত অভিযোগ

 

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ইরেসপো (দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লি কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প) প্রকল্পের ১৩ সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে ৬৭ হাজার ৫৭৯ টাকা আত্মসাত করেছেন বিআরডিবির সহকারী পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) আসমা খাতুন। গত ২৯ জুলাই এসব সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলে তা আত্মসাত করেছে বলে সমিতির সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে জাল স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তা আসমা খাতুন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ইরেসপো নামের একটি প্রকল্প চালু করে কালীগঞ্জ বিআরডিবি অফিস। ওই প্রকল্পের অধীনে ১৩ জন সদস্য নিয়ে উপজেলার বেজপাড়া পশ্চিমপাড়া মহিলা সমিতি গঠন করা হয়। সেই সময় থেকে সমিতির সদস্যরা সঞ্চয় জমা দিয়ে আসছেন। কিন্তু ঋণ দেয়ার বিষয়ে গড়িমসি করেন বিআরডিবি অফিস। সম্প্রতি সমিতির সদস্যরা সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে কালীগঞ্জ বিআরডিবির সহকারী পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) আসমা খাতুন বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। এ ঘটনায় ওই সমিতির সদস্যরা টাকা ফেরত না পেয়ে এবং কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেন।

এসব ঘটনার মধ্যে বিআরডিবি সহকারী পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) আসমা খাতুন অন্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সমিতির ১৩ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ৬৭ হাজার ৫৭৯ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেছেন। যাদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তারা হচ্ছেন- আমেনা, কনা, ফাতেমা, সাথী, মনোয়ারা, আকলিমা, আনোয়ারা, রাশেদা, আরিফা, নারগিস, রিজিয়া, মঞ্জুরা ও পলি। সম্প্রতি ওই সদস্যরা তাদের গচ্ছিত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাইতে বিআরডিবি অফিসে গেলে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। সমিতির সভাপতি আমেনা বেগমসহ একাধিক নারী সদস্য জানান, তাদের পাস বইয়ে জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। তারা (বিআরডিবি কর্মকর্তারা) নিজেরাই স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আমাদের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাত করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।

কালীগঞ্জ বিআরডিবির সহকারী পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) আসমা খাতুন জানান, ২০১২ সালে ইরেসপো নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ১৩ জন সদস্য নিয়ে উপজেলার বেজপাড়া পশ্চিম মহিলা সমিতি গঠন করা হয়। সেখানে তাদের ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ঋণ দেয়া হয়। ১৩ জনের সঞ্চয় জমা ছিলো ৬৮ হাজার ৮৭৯ টাকা। আর তাদের সঞ্চয় ফেরত দেয়া হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৭৯ টাকা। স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন করার কথা তিনি অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহানাজ পারভীন জানান, বিষয়টি তিনি দেখবেন এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।