কার্যালয় ঘেরাও : ভাঙচুর : বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ও কর্মবিরতি পালন

মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে শ্রমিক অসন্তোষ

 

ঝিনাইদহ অফিস: বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা’র দাবিতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চিনিকলের প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে শ শ শ্রমিক-কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ সময় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।

বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান। এ সময় শ্রমিক-কর্মচারীরা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসভবন ও প্রশাসনিক ভবনের সকল বিদ্যুত ও পানি সরবরাহের লাইন কেটে দেন। শ্রমিকরা এমডির কক্ষে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়।

মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মসিয়ুর রহমান স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক আবু সেলিম রেজা জানান, ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ১০৮ ধারা মোতাবেক ২০% মহার্ঘ্য ভাতা তাদের পাওনা রয়েছে। কিন্তু প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও চিনিকলের ১ হাজার ১শ শ্রমিক-কর্মচারীর প্রায় ৪০ লাখ টাকার মহার্ঘ্য ভাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন আটকে রেখেছেন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা চিনিকলের ভেতরে সকাল ৯টা থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। শ্রমিক সমাবেশ বক্তব্য রাখেন মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মসিয়ুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আবু সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম নবী, কর্মচারী কবীর হুসাইন, মিলন হোসেন প্রমুখ।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা স্বীকার করে জানান, একটি দাবি নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা দাবি আদায়ের জন্য প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। তিনি বলেন, মহার্ঘ্য ভাতার যে দাবি তারা করেছে সেটা হেড অফিসের ব্যাখ্যা ও অনুমোদন ছাড়া আমি দিতে পারি না। কোনো সুগার মিল এখনও এ ভাতা দেয়নি। নিয়ম ভঙ্গ করে আমি সেটা দিতে পারি না। দেলোয়ার আরও বলেন, বিষয়টি চিনি শিল্প কর্পোরেশনের হেড অফিসে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পাওয়া গেলে মহার্ঘ্য ভাতা’র বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।