কারিগরি বোর্ডের প্রশ্নফাঁস : যশোর থেকে ৬ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সন্দেহে যশোর থেকে ছয় ছাত্রকে গ্রেফাতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- সুমন আহমেদ, আবদুর রহমান, আবদুর রহমান ওরফে লিটন, এসএম তানভীর আলম ওরফে রিজভী, জনি রহমান ও আরাফাত হোসেন। এরা যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও আরেকটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে যশোর শহরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আগস্ট সেশনের পরীক্ষার আগে তারা ইন্টারনেটে পরিচিতজনদের কাছে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা প্রশ্নের মধ্যে ৫ম ও ৭ম এবং ৬ষ্ঠ পর্ব পরিপূরক পরীক্ষা-২০১৫ এর প্রোগ্রামিং ইনসি এবং এন্টারপ্রিনিউরশিপ পরীক্ষার প্রশ্ন মিলে যায়। ওই বিষয়ের পরীক্ষাগুলো চলতি বছরের ২ ও ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বোর্ড পরীক্ষাগুলো বাতিল করে বলে জানান তিনি। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল বলেন, তারা কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চলতি বছরের সব পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ করেছিলো বলে স্বীকার করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম, গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, সাজ্জাদুর রহমান, মাশরেকুর রহমান খালেদ ও মাহবুবুর রহমান। একই রাতেই ঢাকায় অভিযান চালিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ডেমরার গোলাম মোস্তফা মডেল কলেজের পরীক্ষা কমিটির এক সদস্য এবং অন্য এক কলেজের দু শিক্ষককে আটক করা হয়। ফেসবুকে যোগাযোগ করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এর আগে গত ৬ জুলাই রাজধানীতে ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে একটি বিষয়ের পরীক্ষা দ্বিতীয়বার নিতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগের রাতে ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায় প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এসএসসিতেও। এ বছরও এইচএসসির হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার আগের রাতে ফেসবুকে ফাঁস হওয়া নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্র হাতে আসে, যা পরে পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে যায়।