কলোনির একদল যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে ফার্মপাড়ার মোশাকে

মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে নৃশংসতা : বিএডিসি খামারের শ্রমিক বড় ভাইয়ের সাথে বিরোধের জের ছোট ভাইয়ের ওপর?

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মোশারফ হোসেন মোশাকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ফার্মপাড়ার অদূরবর্তী কলোনিপাড়ায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপের কারণে তার একটি হাত স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

জখম মোশারফ হোসেন মোশা চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে। একটি কীটনাশক কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কমরত। এ তথ্য জানিয়ে মোশা বলেছেন, কোম্পানির মার্কেটিঙের কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে কলোনিপাড়ার ভেতর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে কলোনির মালেকের ছেলে চাঁন মিয়া, খাজুরের ছেলে বিল্লাল ও একাই এলাকার মোটা বিল্লাল গতিরোধ করে। শাহার আলী ঘটনাস্থলের অদূরে দাঁড়িয়ে কুপিয়ে জখমের নিদের্শ দিয়ে সরে পড়ে। ওই তিনজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে। ধারালো অস্ত্রের কোপগুলো হাত দিয়ে ঠেকানোর কারণে হাতে বেশ কয়েকটি কোপ লেগেছে। পায়েও কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ওরা। পরে স্থানীয়দের কয়েকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পাশাপাশি বাড়িতে খবর দেয়।

কেনে এ হামলা? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মোশারফ হোসেন মোশা বলেছেন, ওদের সাথে আমার কোনো বিরোধ ছিলো না। নেইও। আমার বড় ভাই মোস্তাক বিএডিসি ফার্মের শ্রমিক। বেশ কিছুদিন ধরে শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধেরই জের ধরে আমার বড় ভায়ের প্রতিপক্ষরা আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। কাছে থাকা কোম্পানির ব্যাগের প্রায় অর্ধ লাখ টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছে ওরা। এসব অভিযোগ মোশা করলেও আড়ালে আর কোনো ঘটনা আছে কি-না তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলা হয়নি।