কমতে পারে জ্বালানি তেলের দাম

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়নি এখনো। তবে, শেষ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগকে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি দেশে জ্বালানি তেলের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চান। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জ্বালানি তেলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ দফতরে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে জানান, ইতোমধ্যে বিপিসির এ প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে এবং জ্বালানি তেলের দাম কমানো হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না। তবে দাম সমন্বয়ের বিষয়টি এতে রয়েছে।
এ প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমাতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে জ্বালানি তেলের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চেয়ে ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা এবং বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে আমাদের কিছু করণীয় আছে। এটা স্বীকার করতেই হবে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। মনে হচ্ছে তেলের দরপতনটি কিছুদিনের জন্য স্থায়ী হবে। এখন বাজার দর নিয়ে চিন্তা করার যথোপযুক্ত সময়।
দাম কমানোর প্রক্রিয়া হিসেবে অর্থমন্ত্রী জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেন। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
চিঠি পাওয়ার পর বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করতে জ্বালানি সচিবকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কয়েক দফা পতনের পরও দেশের বাজারে দাম কমানো হয়নি। অথচ দুই দফায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ইতোমধ্য। ফলে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বারবার দাম কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন।