কবর খুঁড়ে কাফন চুরি : সন্দেহের দৃষ্টিতে কবিরাজচক্র

আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণে দাফনের একদিন পর চাঞ্চল্য


সদরুল নিপুল/জাহাঙ্গীর আলম: ঘোলদাড়ির ঐতিহ্যবাহী মসজিদ প্রাঙ্গণের কবর খুঁড়ে সদ্য দাফনকৃত লাশের কাফন চুরি হয়েছে। লাশ দাফনের একদিন পর রাতের আঁধারে এ কাফন চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকার কোনো কবিরাজচক্র এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কাফন চুরি ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের ঘোলদাড়ি গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানী বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে আব্দুল জলিল বিশ্বাস (৮৩) দীর্ঘদিন থেকে বার্ধ্যক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। পরদিন সকাল ৯টায় ঘোলদাড়ি শাহী মসজিদের পাশে জলিল বিশ্বাসের লাশ দাফন করা হয়। তার আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, জলিল বিশ্বাস ছিলেন একজন সদালাপী ও ধার্মিক ব্যক্তি। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জলিল বিশ্বাসের বড় ছেলে শিক্ষক মান্নান বিশ্বাস মাথাভাঙ্গাকে জানান, লাশ দাফনের পরদিন রাতের অন্ধকারে কে বা কারা কবর থেকে কাফনের কাপড় চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তবে আমাদের ধারণা কতিপয় অসাধু কবিরাজ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। গতকাল বুধবার মুসল্লিরা শাহী মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে দেখতে পান জলিল বিশ্বাসের কবরের বাঁশ, খাচি ও কাবারি এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। এ সময় মুসল্লিরা কবরের কাছে গিয়ে দেখতে পান লাশের শরীরে কাফন নেই। খবর পেয়ে তার বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। আবারও কাফন পরিয়ে গতকাল সকাল ৭টায় নতুন করে দাফন করা হয়। কাফন চুরির ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী এলাকাবাসী কবরস্থানে ভিড় জমায়। এ ব্যাপারে ঘোলদাড়ি এলাকার রাজনীতিক আব্দুল ওহাব মাস্টার, শিহাবুল ইসলাম শাহীনসহ অনেকে বলেন, কবর থেকে কাফন চুরি হওয়ার ঘটনা চুয়াডাঙ্গা জেলায় আজও পর্যন্ত ঘটেনি। ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। এ ব্যাপারে গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার লুৎফুল কবীর জানান, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কেউ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।