এসএসসিতে ফেল : চুয়াডাঙ্গার দুপ্রান্তের দু ছাত্রীর আত্মহত্যা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার কারণে দু ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার দুপুরে ফল প্রকাশের পর আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামের বুলু মিয়ার মেয়ে খাসকররা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সোনিয়া খাতুন (১৬) এবং দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমী খাতুন (১৬) আত্মহত্যা করে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার নওলামারি গ্রামের কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ভুলুর একমাত্র সন্তান আইরিন আক্তার সোনিয়া। সে খাসকররা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলো। গতকাল শনিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। সোনিয়া এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার সংবাদ পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। গতকাল শনিবার বেলা ৩ টার দিকে সে পার্শ্ববর্তী চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামের জনশূণ্য ঘরের আড়াই নিজের উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। শহিদুল ইসলামের ঘরের অসম্পূর্ণ জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটায়। অত্যন্ত জেদি স্বভাবের মেয়ে সোনিয়াকে বাড়িতে না দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করার এক পর্যায়ে উন্মুক্ত জানালা দিয়ে সোনিয়ার লাশ ঝুলতে দেখতে পায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাসূত্রে জানা যায়, সোনিয়া বাবা-মার একমাত্র সন্তান। সে বেশ সুন্দরী ছিলো। ছিলো একটু জেদি স্বভাবেরও। প্রায় ৩ মাস পূর্বেও সে আরেক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো। লেখাপড়া ব্যাপারে সে অমনযোগি ছিলো। লেখাপড়ার প্রতি অনীহা তার এ ভাগ্য বিপর্যয় ডেকে আনে বলে গ্রামের অনেকে মন্তব্য করেছে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাপ-মা এখন পাগলপ্রায়। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস।

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পরীক্ষায় পাস না করায় দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি আনন্দবাজারের বাবুর মেয়ে কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমি খাতুন (১৬) গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আত্মহত্যা করে বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তার অকাল মৃত্যুতে স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে বাতাস । গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া । আজ রোববার সকাল ৯টার সময় সুমির লাশ দাফন কার্য সম্পর্ণ করা হবে বলে জানাযায় পরিবার সূত্রে।