এমপিও ভুক্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় ভোকেশনাল শিক্ষকদের সাংবাদিক সম্মেলন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির চুয়াডাঙ্গা শাখার পক্ষে জেলা সভাপতি আব্দুল আজিজ বাংলাদেশে একযোগে সাংবাদিক সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পেশ করছি। মাধ্যমিক লেবেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সরকার বাংলাদেশের জনগণকে কর্মমুখি কারিগরি শিক্ষা চালু করেছে। এ শিক্ষার মাধ্যমে মধ্যমসহ সব মানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাসের পর কারিগরিতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়। অনেক ঝরে পড়া শিক্ষার্থীও এখান থেকে পাস করার পর কর্মজীবনে কাজ করেন। অর্থাৎ এ শিক্ষার মাধ্যমে দেশের ৮ ভাগ জনগণকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতিকে সুশিক্ষিত করে তুলছে। কিন্তু অদ্যাবধি ২০০৩ সাল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনেকেই এখনও এমপিওভুক্ত না হতে পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যেখানে একই বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্য শিক্ষকগণ নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। আমরা অনেক আশা করে আছি বর্তমান সরকার সামনে বাজেটে এমপিওভুক্তির জন্য টাকা বরাদ্দ রেখে বঞ্চিত শিক্ষকদের বেতনের ব্যবস্থা করবে। বাস্তবে আমরা যখন বিশেষ মাধ্যমে জানতে পারলাম এবারেও বাজেটে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এমপিওর জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না। তাছাড়াও যেসব শিক্ষক বেতন-ভাতা পাচ্ছিলেন তাদেরও তিনমাস বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক শিক্ষকেরই অন্য উপায় না থাকায় বর্তমান উর্ধগতির বাজারে দেনা দায় হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু মাউশির শিক্ষকগণ ঠিকিই নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। একই সেক্টরে দ্বৈত নীতি কাম্য নয় বলে আমরা মনে করি। তাছাড়াও বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল দেয়া হয় না যাতে শিক্ষার্থীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা মনে করি যেহেতু সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় প্রতীজ্ঞ সেহেতু কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কখনও সম্ভব নয়। এজন্য কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন আনতে হলে দেশ গড়ার হাতিয়ার কারিগরি শিক্ষকদের বঞ্চিত করে ও অভুক্ত রেখে সম্ভব নয়। আমরা আশা করি ননএমপিও শিক্ষকদের জন্য সামনে জুন ১৪-১৫ অর্থ বছরে আর্থ বরাদ্দ রেখে অতি সত্বর এমপিওভুক্তির ব্যবস্থাসহ যেসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত আছে তাদের বেতন নিয়মিত চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি। নির্ধারিত ১০ দফা পেশ করছি। আমাদের দাবি মানা না হলে খুব শিগগিরই ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি/আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা শামিম উদ্দিন, আবু তালেব, রেজা হোসেন জোয়ার্দ্দার,  কাজী রফিকুল হক, আব্দুর রশিদ, আতিকুর রহমান, মিজানুর রহমান, ইউসুফ আলী কামান হোসেন, রবিউল করিম সোলাইমান কাদের, জাহিদুল হাসান, একেএম ওয়ালিউর রশিদ, রমেন কুমার বিশ্বাস দাস প্রমুখ।