এবার সরকারি কর্মচারীরাও প্রেষণ ভাতা পাচ্ছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: সামরিক বা বেসামরিকসরকারি কর্মকর্তাদের মতো কর্মচারীদেরও প্রেষণ ভাতা দেয়ার সুপারিশ করেছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি। গতকাল রোববারসচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় সামরিক বা বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের মতোকর্মচারীদের প্রেষণ ভাতা দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।মন্ত্রিপরিষদবিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞার সভাপতিত্বে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়াহয়। আগামী দু-একদিনের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারিকরবে বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রজানায়, গত ২ এপ্রিল প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদনের জন্যএকটি সার সংক্ষেপ পাঠিয়েছেন তারা। এতে বলা হয়েছে, সামরিক বা বেসামরিককর্মকর্তাদের ২০ ভাগ প্রেষণ ভাতা পাওয়ার বিষয়ে ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল অর্থবিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর অর্থ বিভাগের প্রস্তাবেরভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ২ জুন একটি প্রজ্ঞাপন জারিরমাধ্যমে প্রেষণ ভাতা পাওয়ার শর্তাবলী নির্ধারণ করে। অর্থ বিভাগ ও জনপ্রশাসনমন্ত্রণালয়ের পরিপত্রটি শুধুমাত্র সামরিক বা বেসামরিক কর্মকর্তাদেরক্ষেত্রে প্রযোজ্য রয়েছে। তবে কর্মচারীদের জন্য এটা প্রযোজ্য নয়।কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ আদেশ জারির পর কর্মচারীদেরও প্রেষণ ভাতা দেওয়ারবিষয়ে মতামত দিতে অর্থ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে।

গতবছরের ১৫ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একপত্রের মাধ্যমে অর্থ বিভাগকেমতামত দেয়। সামরিক বা বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের মতো তৃতীয় ও চতুর্থশ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ মূল বেতনের শতকরা ২০ ভাগ হারে প্রেষণভাতা দিতে কিছু শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্তএকটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তারা। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগ আলাদা একটিপত্রের মাধ্যমে ২০১০ সালে প্রেষণ ভাতা সংক্রান্ত পরিপত্রটি সংশোধন করতেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে।

কর্মকর্তাদের প্রেষণ ভাতাসংক্র্তা পরিপত্রটি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশেরভিত্তিতে জারি করা হয়েছিল। এ কারণে আগের পরিপত্র সংশোধন করে কর্মচারীদেরঅংশ জুড়ে দিতে বিষয়টি সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।