এবারও রংধনুর বেড়েছে এ প্লাস : শতভাগ পাশ

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশে এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমলেও চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সহায়ক শিক্ষাদান কেন্দ্র রংধনুতে বেড়েছে। গতবার এ সহায়ক শিক্ষাদান কেন্দ্রের জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৪৫, এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে।

রংধনুর তত্বাবধানে এবার ১২৮ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। মোট এ প্লাসের সংখ্যা ৫৬ জন। এ গ্রেড পেয়েছে ৫৪ জন। এ মাইনাস গ্রেড পেয়েছে ১৭ জন। পাশ? শতভাগ। রংধনুর প্রতিষ্ঠাতা চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার মান বৃদ্ধির অন্যতম স্বপ্নপুরুষ আব্দুস সালাম (সালাম স্যার) তার শিক্ষাদান কেন্দ্রের ধারাবাহিক সফলতা বিষয়ে বলেছেন, এবার ২১ শিক্ষার্থী এক বিষয়ের জন্য গোল্ডেন ও ৯ জন জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বাংলা এ দুটি বিষয়ে এ প্লাস পায়নি। এর কারণ মূলত বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে অধিক সময় ব্যায় করে ওই বিষয় দুটিকে অবজ্ঞা করেছে। তা-না হলে ফলাফল আরো ভালো হতো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সালাম বলেছেন, শিক্ষার্থীরা মূলত জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী। সব কৃতিত্বই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলীর। আর আমি কিছু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বেকার শিক্ষিত মেধাবী যুবকদের নিয়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সহায়ক শিক্ষাদান কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। সহায়ক ভূমিকা পালনে আমি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ জেএসসি পরীক্ষাতেও রংধনু সাফল্য দেখিয়েছে। রংধনুর তত্বাবধানে ১৮৩ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ৯০জন। ৫০ জন গোল্ডেন এপ্লাস।

যারা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে: চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের আসাদুল হক ও নাজমা হকের মেয়ে তাসমীম জাহান দিশা, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মোহা. সেলিম উদ্দীন ও মোছা. ফরিদা খাতুনের ছেলে মোহা. মতিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদরের মাখালডাঙ্গা গ্রামের মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মোছা. তহুরা খাতুনের ছেলে মো. খালিদ হাসান, কেদারগঞ্জপাড়ার শ্রী হরিদাস দাস ও পলি দাসের ছেলে সৌমিক দাস হিরণ, হাসপাতাল রোডের মো. এনায়েত হোসেন ও সুলতানা জামানের ছেলে ইশতিয়াক আহম্মেদ শিহাব, কোর্টপাড়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবিনা ইয়াসমিনের মেয়ে তামান্না আক্তার তানু, গুলসানপাড়ার মো. আব্দুল মোত্তালিব ও মারুফা বেগমের মেয়ে শারাবান তহুরা রেফা, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার সাহেল আহাম্মাদ ও মোছা. সেলিনা আক্তারের মেয়ে সাইমা আহাম্মাদ প্রভা, কেদারগঞ্জপাড়ার নাসির উদ্দীন ও নাজমুন নাহার সাথীর মেয়ে যারিন তাসনিম নাসা, বাগানপাড়ার মো. জালাল উদ্দীন ও মমতাজ বেগমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নিঝুম, ঈদগাহপাড়ার ডা. মো. আব্দুল লতিফ ও মাহপাড়া সুলতানার ছেলে ইশরাক রাউফীর বিষ্ময়, মজলিশপুরের মো. আক্কাস আলী ও শিমুলারা খাতুনের ছেলে নাজমুস সাকিব, সদর হাসপাতালপাড়ার মো. জাবালুল বাশার সেলিম ও মোছা. রুবিনা আক্তারের মেয়ে লাদুন্নী বিশ্বাস. আরামপাড়ার শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও শাহানাজ বেগমের মেয়ে সায়মা আহমেদ, কলেজপাড়ার মো. নজরুল ইসলাম ও শামীমা নাজনীনের মেয়ে নুসরাত জাহান ঝুমু, বড়বাজারপাড়ার মো. রুহুল আমিন ও মোছা. হাচিনা মমতাজের মেয়ে রাদিয়া তামিম, মহিলা কলেজপাড়ার আব্দুর রশিদ ও মোছা. সুফিয়া খাতুন ডলির ছেলে রাদ সাহমাত রাদ, বড়বাজারপাড়ার মো. আব্দুল কাদের ও মোছা. শাহানারা খাতুনের মেয়ে নাফিছা তারান্নুম মিম, মাঝেরপাড়ার মো. ইয়াকুব আলী জোয়ার্দ্দার ও মোছা. রাজিয়া খানমের ছেলে তানভীর আহমেদ অভি, বড়বাজারপাড়ার আকরাম হোসেন মালিক ও সাবেরা মালিকের ছেলে আকিব হোসেন মালিক, আলুকদিয়া ইউনিয়নের মো. আব্দুল মারুফ ও মোছা. রহিমা খাতুনের মেয়ে তাজনীন আক্তার তৃষা, দৌলতদিয়াড় সর্দারপাড়ার মো. শাহাবুল হক মোল্লা ও মোছা. ইরানি সুলতানার ছেলে মো. শাহরিয়ার সিয়াম, দামুড়হুদার উপজেলার লোকনাথপুরের মো. আলমগীর হোসেন ও মোছা. মেহেনূর আক্তারের ছেলে মো. তানজীল হোসেন আদনান এবং সদর হাসপাতালপাড়ার মোস্তাফিজুর রহমান ও মোছা. রেহেনা পারভীনের ছেলে নাফিজ রহমান রাতুল।

 

যারা এ প্লাস পেয়েছে: চুয়াডাঙ্গা সদরের কোর্টপাড়ার মো. আজগার আলীর মেয়ে আসফিয়া আক্তার রিফা, ফার্মপাড়ার মো. সরোয়ার হোসেনের মেয়ে আসমাউল হুসনা আরোবী, মুক্তিপাড়ার সাহেদ হাসান হালিমের ছেলে আল রুবাইন হাসান নিলয়, মুক্তিপাড়ার মো. শাহজালালের মেয়ে ফারিহা সায়মা প্রাপ্তি, আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী বাজারের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আতিক ফয়সাল, চুয়াডাঙ্গা সদরের দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ার মো. ফরহাদ হোসেন জোয়ার্দ্দারের মেয়ে ফারহা জানজাবিল নিঝাত, দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার মো. হুমায়ুন কবীরের মেয়ে ফাতেমা শবনম কবীর বর্ষা, নূরনগর কলোনীপাড়ার মো. আব্দুর রহিমের ছেলে রাগিব রায়হান মিঠু, দামুড়হুদা উপজেলার গার্লস স্কুলপাড়ার মো. আনারুল ইসলামের মেয়ে কেয়া ইসলাম, খাদিমপুর ইউনিয়নের ভালাইপুরের মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মো. তন্ময় রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদরের সিনেমাহলপাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. শাহেদ আল হাসনাত, নূরনগর কলোনীপাড়ার মো. ফারুক হোসেনের ছেলে মোস্তফা ইকবাল হৃদয়, মুক্তিপাড়ার মল্লিক সাঈদ মাহবুবের ছেলে মল্লিক সাকিব সিফাত, কলেজপাড়ার মনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে মালিহা ফারাহ, কোর্টপাড়ার মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে ইফতেখার হোসেন তুষার, পুরাতন হাসপাতালপাড়ার মো. ইকবাল মাহমুদের ছেলে সাজিদ মাহমুদ. পলাশপাড়ার খন্দকার মাজহারুল ইসলামের মেয়ে মাখনূন নাহার শুচি, দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের মজলিশপুরের মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. রহমত আল জামি, চুয়াডাঙ্গা সদরের পৌর কলেজপাড়ার আজগর আলীর মেয়ে আনিকা তাবাচ্ছুম পাপড়ি, কোর্টপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে ইশরাক রহমান সমীর, রেলপাড়ার রেজা শাহীনের মেয়ে জান্নাতুল মুসফিকা এলিজা, পোস্ট অফিসপাড়ার মো. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ত্বা-সীন মোহাম্মাদ পিয়াল, দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুরের মো. আব্দুল মতিনের ছেলে মো. রনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা সদরের সিনেমাহলপাড়ার মো. আশাদুল ইসলামের ছেলে মো. রেজওয়ান ইসলাম রিয়েল, ঈদগাহপাড়ার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে সাকিব জোয়ার্দ্দার অভি, পলাশপাড়ার মরহুম জহিরুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল নেছা জেবা, আলুকদিয়া ইউনিয়নের পীরপুরের মো. রবিউল ইসলাম মালিতার ছেলে মো. সাজ্জাদুল ইসলাম সবুজ, চুয়াডাঙ্গা সদরের হাসপাতালপাড়ার তরুণ কান্তি ঘোষের ছেলে আকাশ ঘোষ, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরের মো. আব্দুল মতিনের মেয়ে নুসরাত জাহান ঊর্মি, চুয়াডাঙ্গা সদরের সাদিক আলী মল্লিকপাড়ার মো. মোবাচ্ছের আহমেদের মেয়ে মাহফুজা আক্তার তৃপ্তি, কবরী রোডের মো. আরিফুল হকের মেয়ে আবিরা সুলতানা ঊর্মি এবং বেলগাছির মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আশিকুর রহমান।

এদের মধ্যে রিফা, আরোবী, নিলয়, প্রাপ্তি, আতিক, নিঝাত, বর্ষা, মিঠু, কেয়া, তন্ময়, শাহেদ, সূচি, মালেহা, ঊর্মি, নিলয়, রিয়েল, রহমত, তুষার, সাজিদ, সাকিব সিফাত ও সমীরসহ মোট ২১ জন এক বিষয়ের জন্য গোল্ডেন এ প্লাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

যারা এক বিষয়ের জন্য এ প্লাস পায়নি: রুবাইয়া ইসলাম রুবি, ফাহদ আল জুবায়ের, আসাদুজ্জামান মারুফ, মেহেদি হাসান রনি, ইসতিয়াক অহমেদ মিথুন, মো. নাঈম ইসলাম শুভ, মো. সোয়েব, রওশনুজ্জামান রনি ও আশিকুজ্জামান আশিকসহ মোট ৯ জন।