এনজিও সুদের টাকার হাত থেকে বাঁচতে সৌদি আরবে গিয়ে প্রায় জীবন বিপন্ন অবস্থায় ফিরে আসলেন এক অসহায় নারী

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরে নেপা ইউনিয়নের এক অসহায় নারী রুবি (ছদ্দ নাম) এনজিও-র সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সৌদিআরবে পাড়ি জমান। দীর্ঘ ২ মাস নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় জীবন বিপন্ন অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন মানবাধিকার সংস্থা আরডিসির সহযোগিতায়।
এলাকাবাসী ও পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ রুবি খাতুন সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ও বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন উঠিয়ে তা পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন সময় কড়া সুদে টাকা নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় খুব খারাপ অবস্থায় দিন অতিবাহিত করতে থাকেন। এমন সময় মেহেরজান (২৬) পিতা মৃত লোকমান বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত রুবি খাতুনকে সৌদি আরবে মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ করার কথা বলে গত জুন/১৭ মাসে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেন। যাওয়ার পরপরই তার জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ যন্ত্রণা। যে বাড়িতে কাজ দেয়া হয় তারা তাকে সারাদিন বিরামহীনভাবে কাজ করায় ত্রুটি হলে মারধর করে ঠিকমতো খাবার খেতে দিতো না। এরপরে রাত্রে তার ওপর চলে যৌন নির্যাতন। রুবি খাতুন ফোন করে দেশে তার বোনকে জানান, তার জীবনের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কথা। এমতাবস্থায় রুবি খাতুনকে উদ্ধারের জন্য তার বোন মানবাধিকার সংস্থা আারডিসির মহেশপুর অফিসে জানালে ওই সংস্থা বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে উক্ত ভিকটিমকে দেশে ফিরিয়ে আনে। শনিবার সকালে আরডিসি অফিসে এসে তার করুণ কাহিনী বর্ণনা করেন। তিনি এখন নিজ পরিবারে অবস্থান করছেন, একই সাথে দালাল চক্র পাচারকারীদের বিচার দাবি করেছেন।