এক সময়ের দাগীদের অনেকেই হাজতমুক্ত : অশান্ত আলমডাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ জনপদ

 

স্টাফ রিপোর্টার: এক সময়ের দেড় হালি শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জেলমুক্ত হয়ে আবারও আলমডাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ জনপদ অশান্ত করে তুলেছে।এলাকার সচেতনমহলের দাবি পুরাতন সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরে নতুন করে সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

জানাগেছে,আলমডাঙ্গা অঞ্চলের এক সময়ের শীর্ষ দেড় হালি সন্ত্রাসী নতুন করে সংঘটিত হয়েছে। গড়ে তুলেছে বোমা ও চাঁদাবাজির দল। এরা আলমডাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ জনপদে কোনো না কোনো গ্রামে প্রায় প্রতি রাতে চাঁদার দাবিতে অপহরণের হুমকি দিচ্ছে, বোমা হামলা চালাচ্ছে, ডাকাতি করছে।এদের অপতৎপরতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ জনপদের মানুষের জীবন।মধুপুর গ্রামের চিহ্নিত টুটুল জেলহাজতের দীর্ঘদিনের মেট ছিলো। সে ফিরেছে। এছাড়াও ফিরেছেজগত, তুরাল,কেদারনগর গ্রামের হাসানুর, সামসুলসহ অনেকে। এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, এদের বিরুদ্ধে প্রাকাশ্যে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। পুলিশও তাদের চলাফেরার দিকে নজর দিচ্ছে না। চরপাড়া,নওলামারী ও বেগুয়ারখালীরও বেশ কয়েকজন গ্যাঙের সাথে যুক্ত হয়েছে বলে এলাকার একাধিকসূত্র জানিয়েছে। পুরাতন দাগীরা দলে ভেড়াচ্ছে তরুণদের।অস্ত্রের লোভে এ সব তরুণেরা অপরাধ জগতে প্রবেশ করছে।এরা অনেক সময় বাহিনী প্রধান বিশ্বজিতের হয়ে কাজ করে।তার নির্দেশে বোমাবাজি করে,চাঁদাবাজি করে টাকা পৌঁছে দেয়।জীবননগর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করে বিশ্বজিত এদের দিয়ে কাজ চালায়।গত ১০-১২ দিনের ব্যবধানে এ সন্ত্রাসীরা বেলগাছি ও পোয়ামারী গ্রামে একাধিক ডাকাতি ওছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। পাঁচলিয়া গ্রামের স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মন্টুর নিকটও চাঁদা দাবি করে।বোমা হামলা চালিয়ে নির্মাণ শ্রমিককে অপহরণের চেষ্টা করে। এরা আলমডাঙ্গার হাউসপুর,আটকপাট,যমুনার মাঠ, গলাইদড়ি ব্রিজসহ বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা প্রায় ঘটিয়ে আসছে।এমনকি এরা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রামে অব্যাহতভাবে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি করে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এলাকায় ব্যাপকভাবে নীরব চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।ভুক্তভোগীদের অনেকের অভিযোগ-এলাকার ২-১ জন রাজনৈতিক নেতার সাথে এদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে পুলিশ এদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখলেও গ্রেফতার করে না।