এক মাসের খোরাকসহ চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিতে আপস

চোর অপবাদে মেরে আহত করা হতদরিদ্র কাঁঠুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

স্টাফ রিপোর্টার: নির্মম নির্যাতনের শিকার হতদরিদ্র কাঁঠুরিয়া আবদুল জামাত ওরফে জুমাতকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অপরদিকে আপস করায় মামলা না হওয়ায় থানা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছে কলেজপড়–য়া মারুফ হোসেন ও তার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার পিতা জসিম উদ্দীন ও মা রানা খাতুন। গতকল রোববার বাড়ি ফেরেন।
সূত্র বলেছে, এক মাসের খাওয়া খরচ ১০ হাজার টাকাসহ চিকিৎসার ব্যয় বহনের প্রতিশ্রুতিতেই আপস হয়েছে। আপসের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে তিনজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে আপসের বিষয়ে নির্যাতনের শিকার জুমাত আলী তেমন কিছু না জানলেও তার স্ত্রী আনুরা খাতুন বলেছেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কি আর অতোসতো দাম আছে? সমাজ নিয়ে থাকতে হয়, ভাসুর যে শর্তে আপস করেছে আমরা তাতেই রাজি হয়েছি।’
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মৃত রব্বানীর ছেলে আব্দুল জামাত ওরফে জুমাত হতদরিদ্র। হালকা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তিনি গত ৮ অক্টোবর রোববার চুয়াডাঙ্গা শেখরাতলাপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার জসিম উদ্দীনের বাড়িতে কাঠ চ্যালা করার কাজ করেন। পরদিন সোমবার ওই জসিম উদ্দীনের বাড়িতে চুরি হয়। তালা ভেঙে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ সোনার বালা ও দুল চুরি হলেও থানায় তেমন কোনো অভিযোগ করা হয়নি। উপরন্তু সন্দেহের বশে গতপরশু শনিবার বিকেলে মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিকট থেকে জুমাতকে তুলে নিয়ে পৌর কলেজের নিকট নির্জন স্থানে গাছে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। পরে তাকে ওই বাড়িতে নেয়া হয়। এদিকে জুমাতের বাড়িতেও তল্লাশির নামে তছনছ করে। জুমাতের স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ জুমাত ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। মারুফসহ তার পিতা-মাতাকে আটক করে থানা কাস্টডিতে নেয়া হয়। পরে ভর্তি করা হয়। কথা ছিলো মামলা হবে, মামলা হলে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলা হয়নি। হয়েছে আপস।