একমাত্র সন্তানের দুরারোগ্য রোগের খবরে দিনমজুর বাবা-মা’র অকাল মৃত্যু

একমুঠো ভাতের জন্য হাসপাতালে ভর্তি : মৃত্যুপথযাত্রী এতিম রাসেলের বাঁচার আকুতি

 

এমআর বাবু: জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের দিন মজুর লিয়াকত আলী ও গৃহিণী রাশিদা খাতুনের একমাত্র সন্তান রাসেল (১৬)। সে কিডনি রোগে আক্রান্ত। একমাত্র সন্তানকে বাঁচোনোর কোনো আশা দেখতে না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রাসেলের পিতা-মাতা অকালে পৃথিবী ছেড়েছেন। এতিম রাসেলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসার মতো এ পৃথিবীতে কোনো স্বজন নেই। বিনা চিকিৎসায় সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার মুখ দিয়ে রক্ত উঠছে, পায়ু পথ ও প্রস্রাবের নালী দিয়ে রক্ত পড়ছে। এক মুঠো ভাতের জন্য সে হাসপাতালে ঠাঁই নিয়েছে। সুন্দর এ পৃথিবীতে বাঁচার আকুতি তার। এ জন্য সে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।

মাত্র বছর খানেক আগে জ্বরে আক্রান্ত হয় রাসেল। জ্বর না সারায় তাকে চিকিৎসকের নিকট নিলে স্থানীয় চিকিৎসক রাসেলকে ভাল চিকিৎসকের নিকট নেয়ার পরামর্শ দেন তার পিতাকে। রাসেলকে ঢাকায় নেয়া হলে চিকিৎসক জানান তার কিডনি নষ্ট হতে চলেছে। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। তা না হলে বাঁচানো যাবে না তাকে। এ জন্য প্রচুর টাকা লাগবে। ছেলের দুরারোগ্য রোগ হয়েছে জানার পর পিতা-মাতা তাদের একমাত্র সম্বল ভিটা জমি বিক্রি করে ভারতের মাদ্রাজে নেন রাসেলকে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান রাসেলকে সুস্থ করতে হলে প্রচুর টাকা লাগবে। এ কথা শোনার পর মাথায় বাজ পড়ে এ দম্পতির। টাকার অভাবে ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন তারা। ছেলের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ছেলেকে বাঁচানের কোনো আশা দেখতে না পেয়ে তাদের চরম দুশ্চিন্তা পেয়ে বসে। মাত্র ৪ মাসের মাথায় এ দম্পতি ইন্তেকাল করেন। পৃথিবীতে আর কেউ নেই রাসেলের যে তাকে দু মুঠো ভাত আর একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। অসহায় রাসেল অবশেষে দু মুঠো ভাত ও একটু চিকিৎসার জন্য দু মাস আগে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। হাসপাতাল থেকে যে ওষুধ তাকে দেয়া হয় তা তার রোগ সারানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এদিকে কিছুদিন ধরে কাশির সাথে তার রক্ত আসছে। বাম হাতও অকেজো হয়ে পড়েছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সী এ বালকের জীবন প্রদীপ বিনা চিকিৎসায় একপ্রকার নিভে যেতে বসেছে। দানশীলদের একটু সাহায্য পেলে বালক রাসেল বেঁচে যেতে পারে। এজন্য সে ইসলামী ব্যাংক জীবননগর শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে। যার অ্যকাউন্ট নম্বর এফ ১৯৩৩। সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের নিকট এতিম রাসেলের আকুতি। এই সুন্দর পৃথিবীতে আমি বাঁচতে চাই। আপনারা আমাকে বাঁচান।