উন্নয়নে হুইপকে স্বাগত : নিরাপত্তা প্রশ্নে পুলিশের সক্রিয়তা প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় বক্তাদের অভিমতসহ হামলা মামলার বিষয়ে বিশদ আলোচনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লবের ভাবমূর্তি অস্তিত্ব ও সত্ত্বা অম্লান রাখতে বর্তমান কার্যকরী কমিটি দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনই করছে না, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে চলেছে। এজন্য শুধু ধন্যবাদই পাওয়ার দাবি রাখে না, বর্তমান কমিটির কার্যক্রম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সাধারণ সভায় অধিকাংশ সাধারণ সদস্য এ অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সকল সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ও রাজনৈতিক ক্ষমতাসীনদের তরফে নিরাপত্তার বিষয়ে পর্যাপ্ত নিশ্চয়তাও মিলেছে। তারপরও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে বিশেষভাবে নজরে রাখতে হবে।

‌চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের জরুরি বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি মহাতাব উদ্দীন। সভার যাবতীয় কর্মসূচিসহ নোটিশের নির্ধারিত আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সভা পরিচালনায় ছিলেন সেক্রেটারি সরদার আল আমিন। তিনি শুধু সাধারণ সদস্যের প্রশ্নের জবাবই দেননি, তিনি ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনাও সাধারণ সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, গত ২৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে নগ্ন বর্বরোচিত হামলা হয়। সাথে সাথে প্রেসক্লাবের বর্তমান কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান কমিটি তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে। শহীদ হাসান চত্বরে প্রতীকী কর্মবিরতি কর্মর্সূচি পালন করা হয়। ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ গ্রেফতার অভিযান নামে ৪ জনকে গ্রেফতারও করে। একদিন পরই যুবলীগের তরফে হামলার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রত্যাশিত বলে আখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। আসামিদের মধ্যে আরো দুজনকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। গত ৩১ অক্টোবর দেশে ফেরেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক ছেলুন জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। তিনি বাড়ি ফেরার পথেই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামালাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি প্রেসক্লাবে হামলা মামলায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। এর দু দিনের মাথায় গত ৩ নভেম্বর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন। প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের তিনতলার নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনতলার মিলনায়তন হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের নামকরণ করা হবে বলেও প্রাথমিক আলোচনা হয়। গতকাল সন্ধ্যার পর প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভায় নামকরণের বিষয়টি অনুমোদনই শুধু হয়নি, প্রেসক্লাবে হামলার পর চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের পদক্ষেপ গ্রহণে ধন্যবাদ জানানোর প্রসঙ্গটিও ঘুরে ফিরে উঠে আসে। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের অবদান, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিলের সাথে প্রেসক্লাবের নিগুঢ় সম্পর্কের বিষয়েও বিশদ আলোচনা হয়।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সরদার আল আমিন। গত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদনের সাথে সাথে প্রেসক্লাবে হামলার বিষয়ে মামলাসহ গৃহীত আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অনুমোদন করা হয়। বলা হয়- সাধারণ সদস্যরা যেমন প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, তেমনই প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি অহিংস আন্দোলন কর্মর্সূচি গ্রহণ করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রেসক্লাবে হামলা মামলা চলবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাবে হামলার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় উপস্থিত থেকে যারা অভিমত ক্রমানুসারে ব্যক্ত করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- নাসির উদ্দীন আহম্মেদ, এসএম শরীফ উদ্দীন হাসু, ডা. শাহার আলী, আহাদ আলী মোল্লা, আব্দুস সালাম, জাহিদ জীবন, রাজন রাশেদ, রানা কাদির, ইসলাম রকিব, হোসেন জাকির, নাসির উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, আতিয়ার রহমান, খাইরুজ্জামান সেতু, মাহফুজ মামুন, রেজাউল করিম লিটন, ফজলে রাব্বী সাগর, কামরুজ্জামান সেলিম, তৌহিদ তুহিন, শেখ সেলিম, এমএম আলা উদ্দীন, মানিক আকবর, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মরিয়ম শেলী, রাজীব হাসান কচি, শাহ আলম সনি, চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, রফিকুল ইসলাম, রফিক রহমান, মিজানুল হক মিজান, মাহমুদুল করিম খান সন্টু, জেড আলম, রিচার্ড রহমান, ফাইজার চৌধুরী, শাহার আলী, বিপুল আশরাফ, জামান আখতার, আরিফুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ।