চুয়াডাঙ্গায় বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা : পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা হানুরবাড়াদির বাকপ্রতিবন্ধী রেহেনা ওরফে গুঙিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। ঈদের পূর্বরাতে নিখোঁজ হয় সে। ঈদের পরদিন বুধবার গ্রামের অদূরবর্তী পদ্মবিলা বিলের মাঠের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় লাশ। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। পুলিশ অবশ্য গতকাল পর্যন্ত আসামি ধরার কাজে তেমন তৎপরতা দেখায়নি। স্থানীয়দের সন্দেহ, ওই মাঠের তাড়িখোররাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের হানুরবাড়াদি কাজীপাড়ার হতদরিদ্র পরিবারের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে রেহনা খাতুন। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। রেহনাকে স্থানীয়রা গুঙি বলেই ডাকতো। তার মা ও সে প্রতিবেশীদের বাড়ির কাজ করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতো। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশী আজিজের স্ত্রী ডেকে গুঙির মাথায় তেল দিয়ে চুল বেঁধে দেন। বাড়ি ফেরে। এরপর সে কোথায় গিয়ে লম্পট ঘাতকদের কবলে পড়ে তা অবশ্য কেউ বলতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ঈদের পূর্বরাতে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজি করে না পেলে মসজিদের মাইক দিয়ে প্রচার করে সন্ধানও চাওয়া হয়। ঈদের পরদিন গ্রাম থেকে মাইলখানেক দূরে পদ্মবিলা বিলের মাঠের একটি পুকুরে পাওয়া যায় লাশ। লাশ উদ্ধারের সময় সহায়তা প্রদানকারী গ্রামেরই ফারুক হোসেন বলেন, গুঙির মুখে কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিলো। হাতেও ছিলো বাঁধনের দাগ। ধারণা করা হচ্ছে, ওকে হত্যার সময় হাত বেঁধে মারা হয়।

লাশ উদ্ধারের পর নেয়া হয় হাসপাতালমর্গে। ময়নাতদন্ত করা হয়। সূত্র বলেছে, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ একটু নজর দিলেই খুনিচক্রের মুখোশ খুলতে পারে।