ইমামের থাকার ঘরে আগুন : ৪টি কোরআন ভস্মীভূত : আটক ১

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের জামে মসজিদ থেকে ইমামকে সরাতে তার নামে মিথ্যা শিশু বলৎকারের অভিযোগ দেয়াসহ গতকাল শুক্রবার ভোরে ইমামের থাকার ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। এতে ৪টি কোরআন শরিফ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক এক যুবককে পুলিশ আটক করে মেহেরপুর সদর থানায় নিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা গ্রামের হারুন-অর-রশিদ (৩২) আশরাফপুর গ্রামের চালতলাপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে প্রায় ২ বছর কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি গ্রামের একটি পক্ষ ইমাম হারুন-অর রশিদকে ওই মসজিদ থেকে সরাতে তার বিরুদ্ধে একটি শিশু বলৎকারের অভিযোগ উত্থাপন করেন। লজ্জায় তিনি প্রায় একমাস আগে মসজিদ থেকে সরে যান। গতকাল শুক্রবার তার বকেয়া পাওনা বেতন পরিশোধ করা কথা ছিলো। তার আগেই এদিন ভোরে ফজরের আজানের আগে এলাকার কতিপয় যুবক মসজিদের পাশের ইমামের থাকার তালাবদ্ধ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ঘরের অন্য জিনিসপত্রের সাথে ৪টি কোরআন শরিফ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী সাহেবপুর আইসি ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই বাবলু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

সাহেবপুর আইসি ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই বাবলু আরো জানান, আগুন দেয়ার ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক পারভেজ (২০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন। আটক পারভেজ ওই গ্রামের মৃত শেখ মোবারক হোসেনের ছেলে।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার্স ইন চার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, কোরআন শরিফ হারুন-অর-রশিদের ঘরে থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। আবার ইমাম হারুন-অর রশিদের বিরুদ্ধে শিশু বলৎকারের ঘটনাটি শুনেছি মাত্র। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ নেই। তবে মসজিদের জমিদাতারা চাচ্ছেন না ইমাম হারুন-অর রশিদ ওই মসজিদে থাকেন। এ নিয়ে ওই গ্রামে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যায় দু পক্ষকে থানায় তলব করা হয়। শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত আজ শনিবার গ্রাম্যসালিসে তারা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলবেন বলে সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই জিয়া জানান।