ইবি প্রশাসনের ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

বাসচাপায় ইবি ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর নামে মামলা : বেলা ১১টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

 

ইবি প্রতিনিধি: ইবি প্রশাসনের ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে ঝিনাইদহের সব রুটে বাস মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ১০টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। এ উপলক্ষে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি ক্ষতিপূরণ নিরুপন কমিটি গঠন করা হয়। আজ বেলা ১১টার মধ্যে ইবি কর্তৃপক্ষ নতুন করে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই কমিটি পুড়ে যাওয়া ও ভাঙচুরকৃত বাসের ক্ষতিপূরণ নিরুপন করে রিপোর্ট প্রদান করবে। এ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন, বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং কুষ্টিয়া প্রশাসনের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিচিম, ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আব্দুল হাকিম সরকার, প্রোভিসি ড. শাহিনুর রহমান, কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া বাস মালিক গ্রুপের নেতা এস এম রেজাউল ইসলাম ও মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তৌহিদুল ইসলাম টিটো নামে এক ছাত্র নিহত হলে শিক্ষার্থীরা ঝিনাইদহের সতেরটি বাসসহ মোট ৩৫টি বাস পুড়িয়ে দেয় ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে ঝিনাইদহের বিভিন্ন রুটে ঝিনাইদহ বাসমালিক ও শ্রমিক সংগঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।

বাসচাপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র টিটু নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় তিনটি মামলা হয়েছ। পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দায়ের করা আরও দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে দেড় হাজার অজ্ঞাতনাম শিক্ষার্থীকে। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হলেও নিহত ছাত্রের বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। গাড়ি পুড়ানোর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার বাস মালিক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যে কারণে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে কোনো বাস চলাচল না করায় শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যেতে পারেনি। ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র পরিবহনে (নসিমন-করিমন) করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সময় পথে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে দুর্বৃত্তদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিবুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার ঘটনায় ইবি থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুটি মামলা দায়ের করেছে। উভয়ের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় দেড় হাজার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় ৯শ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে নিহতের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার ড. মসলেম উদ্দিন বলেন, উপাচার্যের বাসভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় একটি ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরেকটি মোট দুটি মামলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা এক হাজার শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। নিহতের ব্যাপারে কোনো মামলা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হলেও নিহতের বিষয়ে কোনো মামলা না হওযায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, যে গাড়ির ধাক্কায় বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র টিটু নিহত হয়েছে সেই গাড়ির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত এবং এ বিষয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি হওয়া উচিত। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত গাড়িগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট ট্রাফিক নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান বলেন, নিহত ছাত্রের ব্যাপারে অবশ্যই মামলা হওয়া উচিত। এছাড়া মামলায় শিক্ষার্থীদের আসামি করার কারণে তারা হয়রানির শিকার হবেন বলেও তিনি জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, নিহত ছাত্রের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে এবং একই সাথে মামলাও হয়েছে তাহলে নিহতের ব্যাপারে কেন মামলা হবে না তা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এবং বিষয়টি এড়িয়ে যান।

হল ত্যাগে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি: এদিকে বাসে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ পরিবহন মালিক সমিতি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। যে কারণে ওই মহাসড়কে কোনো বাস চলাচল করেনি। ফলে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হলেও বাস চলাচল না করায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করতে পারেননি। কিছু শিক্ষার্থী ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র পরিবহনে (নসিমন-করিমন) করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সময় তাদেরকে পরিবহন শ্রমিকরা পথিমধ্যে মারধর এবং তাদের সাথে থাকা টাকা-পয়সা ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।

লালনশাহ হলের আবাসিক ছাত্র সোহেল জানান, তার বন্ধু সকালে নসিমনযোগে ঝিনাইদহে রওনা দেয়। পথিমধ্যে গাড়াগঞ্জ নামক স্থানে এসে পৌঁছুলে কিছু দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে এবং তার কাছ থেকে মানিব্যাগ, ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া কুষ্টিয়ার মধুপুরে এক ছাত্র ও মজমপুরে এক ছাত্রীর কাছ থেকে পরিবহন শ্রমিকরা ল্যাপটপ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় পেয়ে কুষ্টিয়ার মজমপুরে ৭-৮ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। সকালে কুষ্টিয়া পরিবহন শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা হাতে মজমপুরে মিছিল দেয়। এছাড়া কুষ্টিয়ার মজমপুর, সাদ্দাম বাজার, চৌড়হাস মোড় ও বটতেল নামক স্থানে শ্রমিকদের লাঠিসোঁটা হাতে শোডাউন করতে দেখা গেছে।

ঝিনাইদহ জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি-প্রোভিসির দ্বন্দ্বের কারণে এতো ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ৩৪টি বাস পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কি-না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ সন্ধ্যায় (গতকাল) আমাদের ডেকেছেন। মিটিং শেষেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রাত সাড়ে ৭টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার, উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এবং দু জেলার বাস মালিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ বৈঠক করছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এসব অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবহন সমিতির সাথে বৈঠক করার চেষ্টা করছে। আশা করি একটা ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। ততোক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হলেই থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, পরিবহন ধর্মঘট চলা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে। তবে এটা অলিখিত সিদ্ধান্ত। আমরা পরিবহন সমিতির সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। আশা করি তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেবেন। তিনি আরও বলেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার মাত্র শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের উচিত হবে হল ত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

জেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি: কুষ্টিয়ার মজমপুর, সাদ্দাম বাজার, কাস্টমমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা দুর্বৃত্তদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের হয়রানি থেকে মুক্তি ও নিরাপত্তা চেয়ে কুষ্টিয়া শহরে মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুর একটার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রেরণকরেন। এ বিষয়ে সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কুষ্টিয়ার মজমপুর, সাদ্দাম বাজার, কাস্টমমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

ঘাতক গাড়িচালক জাহিদুল লাপাত্তা: এদিকে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র টিটু নিহত হওয়ার পর থেকে ঘাতক বাস সাগর পরিবহনের গাড়িচালক মো. জাহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, টিটু বাসের চাকায় পিষ্ট হবার পরপরই গাড়িচালক জাহিদুল ইসলাম ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সে পলাতক রয়েছে। জাহিদুল ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। জাহিদুলের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন অফিসে খোঁজ নিলে তার ব্যাপারে কেউ জানেন না বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান।

এদিকে বাস চাপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় দু দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া ভায়া ঝিনাইদহ রুটে কোনো বাস চলাচল করছে না। গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ব্যাপকভাবে বাস-ট্রাক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে বাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্ত নেন। কখন বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে তাও বলতে পারছেন না চুয়াডাঙ্গার শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ বা দূর পাল্লার কোনো বাসই চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না, আসছেও না।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন চলাচল করছে না। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার শ্রমিকদের ডাকে অনির্দিষ্টকালের হরতালের পাল্লায় পড়ে বাধ্য হয়ে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ওই দু জেলার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে। তবে মেহেরপুর জেলার সীমান্তের মধ্যে লোকাল বাস চলাচল করছে।

মেহেরপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রসুল জানান, গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর থেকে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে যায়। পরিবহনগুলো কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পৌঁছুলে ওই দু জেলার মালিক-শ্রমিকরা মেহেরপুরের পরিবহনকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। পরে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুর থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।