ইবিতে শিবিরের রুম তল্লাশি করে ১১ ককটেল উদ্ধার

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালিয়ে ১১টি ককটেল, ৫টি পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জাম, সিডি, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, দেশীয় অস্ত্র এবং সাংগঠনিক দলিলাদি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি করে এসব উদ্ধার করে প্রশাসন। এর আগে বিকেলে দুই শিবিরকর্মীকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

হল প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলে তল্লাশি চালায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নিয়ন্ত্রিত ৩১৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৮ নং রুমসহ বেশ কয়েকটি রুমে তল্লাশি চালানো হয়। এর এক মাস আগেই শিবির নিয়ন্ত্রিত ৩১৭ এবং ১৮ নম্বর রুমে সিলগালা করে রেখেছিলো হল প্রশাসন। হল তল্লাশি করে মোট ১১টি ককটেল, ৫টি পেট্রোল বোমা তৈরির সারঞ্জম, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, বিপুল পরিমাণ ডিস্ক, দেশীয় অস্ত্র, দালিলিক কাগজপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ, শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামানসহ অর্ধশত পুলিশ, ডিবি কর্মকর্তা।

তল্লাশি শেষে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান প্রেস ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় সাদ্দাম হোসেন হলে তল্লাশি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির রুম থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ককটেল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, সিডি ও দালিলিক কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। হল থেকে দুই শিবিরকর্মীকে আমরা আটক করেছি। এর আগে দুপুরে সাদ্দাম হোসেন হলের সামনে থেকে গোলাম আজম, হাসনাত নামে দুই শিবিরকর্মীকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগ।