ইবিতে ছাত্রলীগের মিছিলে পুলিশের বাধা : ওসি লাঞ্ছিত

ইবি প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের বের করা আনন্দ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাত্রলীগ নেতকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ইবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামিম হোসেন খান ও যুগ্মআহ্বায়ক আবুজার গিফারী গফ্ফারের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে প্রধান ফটকেই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তারা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে আবারো বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় ছাত্রলীগের মিছিল থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী ওসি মনিরুজ্জামানের ওপর চড়াও হয়। এতে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান ও যুগ্মআহ্বায়ক আবুজার গিফারী গফ্ফার নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনেই একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন তারা। সমাবেশে বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসি মনিরুজ্জামানের পদত্যাগ দাবি করেন। তা না হলে ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ারও হুমকি দেয় তারা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তাল লাগিয়ে দেয়। ফলে ঘণ্টা খানেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারেনি। পরে দুপুর ১টার দিকে ইবি প্রেস কর্ণারে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম খান বলেন, আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের ওপর হামলা করিনি। পুলিশই বরং আমাদের ওপর হামলা করে।

ইবি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এক মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাত্রলীগ মিছিল বের করায় ও প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করায় আমরা তাদের বাধা দেয়। এতে তারা আমদের ওপর চড়াও হয়।