ইবিতে ছাত্রলীগের বহিরাগতদের নিয়ে মহড়া

 

ইবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশসহ যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। গত ১ এপ্রিল থেকে ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশসহ যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক ছাত্র নিহতের জের ধরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে দীর্ঘ চারমাস ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকে। সিন্ডিকেট সভায় ৩ এপ্রিল থেকে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশসহ যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে মহড়া দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহভাপতি মিজানুর রহমান মিজু ও এমদাদুল হক সোহাগ গ্রুপের সমর্থকরা। মহড়ায় অংশ নেয়া শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলো স্থানীয় বহিরাগত। দুপুর ১২টায় দলীয় টেন্ট থেকে মহড়াটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় কোটি টাকার টেন্ডার জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। টেন্ডার পেতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বহিরাগতসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। মহড়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজুর সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগ সবসময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে যারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে অমান্য করে বহিরাগত ও অছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজির চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করবো।’ এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. লোকমান হাকিমের সাথে ব্যক্তিগত মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।