ইবিতে ছাত্রদলের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছে ইবি শাখা সভাপতি ওমর ফারুক। জানা যায় শনিবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসে ইবি শাখা ছাত্রদল নেতা কর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী সোমবারের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা  এ ঘোষনা দেয়।   এদিকে হরতালের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি গাড়ী ভাংচুর করেছে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। এ সময় বাসের চালকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয় বলে জানা যায়। তবে শনিবার কোন ক্লাস পরীক্ষা হয়নি বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ঝিনেইদহ থেকে পুলিশ এর সহায়তায়  ক্যাম্পাস অভিমুখে রওনা হয়। এ সময় বাসগুলো গাড়াগঞ্জ বাজার নামক স্থানে  পৌঁছুলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাস লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মেরে ৩টি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় প্রায় ৬ জন আহত হয়। পরে কিছু গাড়ি ঝিনেইদহে ফিরে যাওয়ার সময় আমতলীর মোড় নামক স্থানে আবারো ২টি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় চালকসহ ৪ জন আহত হয় বলে জানা যায়। আহতদেরকে ঝিনেইদহ সদর হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এর আগে গতকাল রাতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কুষ্টিয়া-মজমপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত প্রেসকর্ণারে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিদুল ইসলাম রাশেদের মুক্তিসহ ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৫ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- গ্রেফতারকৃত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, ছাত্রদল কর্মী মুত্তকীনসহ সকল গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, ছাত্রদল নেতাকর্মীদেও বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার, ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ, সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনয়ন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ। এ সময় নেতাকর্মীরা প্রশাসনের গাফলতির কারণে রাশেদ এর মুক্ত হচ্ছে না বলে দাবি করেন। পরে তাদের দাবি না আদায় পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে ঘোষণা দেয়।