ইনকিলাবের ছাপাখানা সিলগালা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডে দৈনিক ইনকিলাব কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে ছাপাখানা সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবিসহ তিন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দু সাংবাদিক হলেন- উপপ্রধান প্রতিবেদক রফিক মোহাম্মদ ও কূটনৈতিক প্রতিবেদক আতিকুর রহমান ওরফে আহমদ আতিক। এ সময় অফিস থেকে দুটি কম্পিউটার ও কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। ছাপাখানা ছাড়াও ইনকিলাবের সার্ভার রুম ও প্লেট রুমও সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

গতকাল ইনকিলাবে ‘সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীর সহায়তা’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল বিকেলে ওয়ারী থানায় ইনকিলাবের সম্পাদক-প্রকাশকসহ প্রধান বার্তা সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং দণ্ডবিধিতে মামলা (নং ১১) দায়ের হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে রামকৃষ্ণ মিশন রোডের ইনকিলাব অফিসে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাকিব উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্য প্রথমে ইনকিলাব ভবনটি ঘিরে ফেলে। পরে সাত তলা ভবনের পঞ্চম তলার বার্তা বিভাগে গিয়ে সবাইকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটি কার লেখা বলে খোঁজ করা হয়। এক পর্যায়ে প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক আহমদ আতিক, উপপ্রধান প্রতিবেদক রফিক মোহাম্মদ, বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবিকে আটক করা হয়। একই সাথে তাদের ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোও আটক করা হয়। এ সময় সংশ্লিস্ট প্রতিবেদনটির সম্পাদনা সহকারী শহীদুল ইসলামকেও আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে শহীদুল ইসলাম রিপোর্ট ছাপা হওয়া না হওয়ায় তার কোনো ভূমিকা নেই এবং সদ্য স্ত্রী মারা যাওয়ার বিষয়টি বুঝিয়ে বলে গোয়েন্দা পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পান। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ তিন সাংবাদিককে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার আফজাল বারীকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। পরে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জব্দকৃত মালামালের মাধ্যমে দুটি কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের খসড়া কপিসহ কিছু কাগজপত্র রেখে বাকি জিনিসপত্র আফজাল বারীর জিম্মায় ফেরত দিয়ে দেন।