ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা : সদর ইউএনওর নেতৃত্বে ঝটিকা অভিযান পরিচালিত

স্টাফ রিপোর্টার: চাহিদার অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বিক্রির অজুহাত দেখিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিলাররা সার মজুদ করছে অভিযোগে আকস্মিক অভিযান চালানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিনের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজার এবং ডিলারদের প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালান হয়। এ সময় ইউরিয়া সার মজুদ ও বিক্রির অনিয়মের সত্যতা মেলে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়। অবৈধভাবে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার ক্রয় করে আনার সময় ভালাইপুর বাজার থেকে ৩০ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নিয়োজিত ইউরিয়া সার বিক্রির ৯টি ডিলার মালিকেরা প্রতিদিন ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ বস্তা ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায়। ফলে সদর উপজেলায় ইউরিয়া সারের চাহিদা বেড়ে যায়। হঠাৎ করে ইউরিয়া সারের চাহিদার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে ধানচাষ না থাকা এবং ভুট্টার গাছ বড় না হওয়া সত্ত্বেও ডিলাররা ইউরিয়া সারের চাহিদাপত্র পাঠায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিনের নেতৃত্বে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুর রহমানকে সাথে নিয়ে ডিঙ্গেদহ, সরোজগঞ্জ, হিজলগাড়ি, আলোকদিয়া ও ভালাইপুরবাজার এবং ডিলারদের প্রতিষ্ঠানে ঝটিকা অভিযান চালান। ডিলারদেরকে সারের বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিদিন ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ বস্তা ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়। এতো সার কিসে ব্যবহার করছে চাষিরা এর সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয় ডিলাররা। ফলে অভিযান পরিচালনাকারিরা সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ইউরিয়া সার মজুদ করেছে বলে নিশ্চিত হন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি ডিলারদের সতর্ক করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন বলেন, ডিলাররা পরিকল্পিতভাবে ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত বিক্রি দেখিয়ে মজুদ করছে। বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে ভালাইপুর বাজারের সার ব্যবসায়ী মতিয়ারের ৩০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দকরা হয় বলেও তিনি জানান।